“আদর্শ গৃহবধূ হতে পারিনি, রান্নাও পারি না”, স্বামী, সংসার, কিংবা সম্পর্ক—এই সমস্ত কিছু ছাড়িয়েও একজন নারীর নিজস্ব সত্ত্বা খুব গুরুত্বপূর্ণ! অকপট খেয়ালি দস্তিদার!

বাংলা বিনোদন জগতে এমন কিছু অভিনেত্রী রয়েছেন, যাঁদের অভিনয়ই তাঁদের পরিচয়। খেয়ালি দস্তিদার (Kheyali Dastidar) সেই তালিকারই এক উজ্জ্বল নাম। থিয়েটার থেকে টেলিভিশন, সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ—প্রতিটি মাধ্যমেই নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। কিন্তু এবার পর্দার বাইরের খেয়ালিকে খুঁজে পেলেন দর্শক। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের একাধিক অজানা কথা তুলে ধরলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

কয়েক বছর ধরে খেয়ালিকে প্রায়শই নেতিবাচক চরিত্রেই দেখা যাচ্ছিল, তবে সম্প্রতি একটি ধারাবাহিকে (তোমার খোলা হাওয়া) পজেটিভ শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি খুবই খুশি। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “অনেকদিন পর আবার একটা ভালো, ইতিবাচক চরিত্র পেয়ে নিজেকে ফিরে পেয়েছি।” তবে বাস্তব জীবনের কথা উঠতেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। জানান, “বহু চেষ্টা করেও আমি কোনওদিন আদর্শ গৃহবধূ হতে পারিনি। রান্নাবান্নাতেও আমি একেবারেই ভাল নই।”

একটা ঘটনার কথা জানিয়ে খেয়ালি বলেন, একবার তাঁর ছেলে বলেছিল, “সবাই তাঁদের মা মারা গেলে বলেন মা খুব ভালো রান্না করতেন, আমি সেটা বলতে পারব না।” যদিও এতে কষ্ট না পেয়ে অভিনেত্রী মজার ছলেই বলেন, “তখন আমি ওকে বুঝিয়ে বলি, কজনের মা লিখতে পারে? আমি কলম চালাই, রান্না নয়।” অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট, সংসার কিংবা রান্নাঘরের সীমাবদ্ধতায় নিজেকে আটকে না রেখে তিনি নিজের সৃজনশীলতাকেই বেছে নিয়েছেন জীবনের পথচলার সঙ্গী হিসেবে।

সাক্ষাৎকারে একটি জায়গায় খেয়ালি বলেন, “একা থাকতে হবে ভাবলেই ভয় লাগে।” এই কথার মধ্যেই যেন মিশে আছে বহু নারীর না বলা অনুভব। স্বামী, সংসার, কিংবা সম্পর্ক—এই সমস্ত কিছু ছাড়িয়েও একজন নারীর নিজস্ব সত্তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, খেয়ালির জীবন তা বারবার মনে করিয়ে দেয়। একা হলেও তিনি ভয়কে জয় করেই এগিয়ে চলেছেন নিজের মতো করে।

আরও পড়ুনঃ ৮৭ বছর বয়সেও এ কী সাজ! সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মেকআপ দেখে হোঁচট খাচ্ছেন দর্শকরা! চরিত্রের চাইতে চড়া লিপস্টিক বেশি চোখে পড়ছে! ছোটপর্দায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

পর্দার চরিত্রের বাইরেও খেয়ালি দস্তিদার যেন এক অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন, গৃহস্থালি কাজ না জানলেও একজন নারী সফল হতে পারেন, সন্তানকে গর্বিত করতে পারেন। নিজের পথ নিজেই তৈরি করেছেন, সেই পথ হয়তো সোজা নয়, তবে অনেক গল্পে ভরা। আর সেই গল্প শোনার জন্যই বারবার ফিরে আসেন তাঁর অনুরাগীরা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।