“সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আসা আর তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে” “তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যেতে চাইলে, বাধা দেব না”— অতীত প্রেম আর সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে সৃজলার নিঃসংকোচ বক্তব্য!

বাংলা টেলিভিশনের এক পরিচিত নাম ‘সৃজলা গুহ’ (Srijla Guha)। স্টার জলসার ‘মন ফাগুন’ (Mon Phagun) ধারাবাহিকে পিহু চরিত্রে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। সহ-অভিনেতা ‘শন বন্দ্যোপাধ্যায়’র (Sean Banerjee) সঙ্গে তাঁর রসায়ন সে সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি সৃজলা। ধারাবাহিক থেকে ওয়েব দুনিয়ার রাস্তায় পা বাড়িয়ে নিজেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। প্রথম ওয়েব সিরিজে ‘কলঙ্ক’ (Kolonko) তে রাইমা সেন ও ঋত্বিকের পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্ব ছাপ ফেলে দেন এই টেলি-নায়িকা।

এবার চলতি বছরে তাঁর ঝুলিতে যোগ হতে চলেছে নতুন সিরিজ ‘বাতাসে গুনগুন’ (Batashe Gungun)। সিরিজটি মুক্তির আগে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী, যেখানে তিনি খোলামেলা নানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। শুরুর দিকেই সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন আসে, সিরিজের শিরোনাম ‘বাতাসে গুনগুন’ শুনলেই কি কিছু পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে? হাসিমুখে সৃজলার উত্তর, “আমার প্রথম কাজ মন ফাগুনের কথা খুব মনে পড়ে। টিমের কথা খুব মনে পড়ে, আর অবশ্যই দর্শকদেরকে খুব মিস করি যারা আমায় এত ভালবাসা দিয়েছেন।”

এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, অতীত কাজের প্রতি এখনও তীব্র আবেগ জড়িয়ে আছে তাঁর। এই নতুন সিরিজে ‘পল্লবী’ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে, যাকে ঘিরেই আবর্তিত হবে গল্প। নিজের চরিত্রের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সৃজলা বলেন, “আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ থাকে যাদের ছোটবেলাটা খুব আহত ভাবে কেটেছে, নিজেদের ক্ষতগুলো ঠিক করে সারানোর সময় পায়নি তারা। ফলে বড় হতেই অন্যকে আহত করতে শুরু করে। এই সিরিজে পল্লবীও কিছুটা আহত প্রেমিকার মতো যে ভালোবাসা কি জিনিস জীবনে পায়নি।”

এমন চরিত্রে অভিনয় যে চ্যালেঞ্জিং, সে ইঙ্গিত তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। সিরিজের চরিত্রের সূত্র ধরে সাংবাদিকরা জানতে চান, ব্যক্তিগত জীবনে পুরনো প্রেমের কোনও স্মৃতি কি এখনও তাঁকে তাড়া করে? উত্তরে সৃজলা বলেন, “মানুষ জিনিসটাই স্মৃতি দিয়ে তৈরি, মনে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক আর আমৃত্যু সেগুলো সঙ্গেই থাকবে। বরং বলা ভালো মৃত্যুর সময়ও সাথেই যাবে।” এরপর প্রশ্ন আসে, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী? সৃজলার সরল কিন্তু দৃঢ় জবাব, “সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আসা আর তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।

আরও পড়ুনঃ “সত্যজিৎ রায় কথা দিয়েছিলেন, আর কখনও ডাকবেন না!”— বাবাকে দেওয়া কথার জন্য অলকনন্দাকে আর ডাকেননি সত্যজিৎ রায়! কোন শর্তের বিনিময়ে পেয়েছিলেন অলকনন্দা রায়কে?

আমার সম্পর্কে যদি এমন কিছু হয় আমি চাইবো তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সে যেন চলে যায়, আমি কোনদিনই বাধা দেবো না।” শেষে, তাঁকে টেলিভিশনের পর্দায় আর দেখা না যাওয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসে। এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আপাতত তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত, ফলে ধারাবাহিকের মতো লম্বা সময় দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “বর্তমানে ধারাবাহিকের কোন পরিকল্পনা করছি না, তবে ভবিষ্যৎে এমন কিছু হলে নিশ্চয়ই ভাববো।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।