বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তিত্বকেই কমবেশি নজরে রাখেন সাধারণ মানুষ। আচরণে সামান্য অসঙ্গতি চোখের পড়লেও সমালোচনা শুরু হয়ে যায় তক্ষুনি। এবার তাই হয়েছে অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের (Jisshu Sengupta) সঙ্গেও। চলতি সপ্তাহের বুধবার, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। এখন এমন অনুষ্ঠানে তাঁকে খুব একটা দেখা যায় না বলে, তাঁকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেই অভিনেতা এক সাংবাদিকের সঙ্গে এমন কান্ড ঘটালেন, যাকে ঘিরে সমাজ মাধ্যম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে! কী এমন ঘটালেন অভিনেতা?
আসলে এমন দৃশ্য হামেশাই বলিউডে চোখে পড়ে। যাকে কেউ পাবলিসিটি স্টান্ট মনে করেন, তো কেউ আবার উদারতার পরিচয়। এদিন দক্ষিণ কলকাতার এক বিলাসবহুল শপিং মলে, যিশুর ছবি তোলার জন্য সাংবাদিকদের ভিড়ে এক মহিলা সাংবাদিক হঠাৎ হোঁচট খেতেই, খানিক দূরে গিয়ে পড়ে সেই জুতো। যিশু সেটা লক্ষ্য করেন। এরপর হাতে করে এনে সেই জুতো ওই তরুণীকে এগিয়ে দেন। ততক্ষণে লজ্জায় পড়ে গিয়েছেন ওই তরুণী, সঙ্গে সঙ্গে নমস্কার করতে উদ্ধত হন তিনি।
এই ভিডিওটি সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই, মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া শুরু করে। যেখানে টলিউডে এই দৃশ্য বিরল, বলে কেউ কেউ অভিনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তো কেউ এবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, উনিই সেই লোক! যিনি কিছুদিন আগে দুই মেয়ের এবং স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আসলে কিছুদিন ধরেই অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানান কাটাছেঁড়া চলছে। অন্য সময় এমন ঘটনা ঘটলে একাধারে প্রশংসাই পেতেন তিনি, কিন্তু এই ঘটনাকে গায়ে লাগা কাদা সাফ করার চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।
সমাজ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া এসেছে, যেমন— “অক্ষয় কুমার কে কপি করেছে”, “এদের প্রণাম করার কি আছে সেটাই বুঝি না!” আবার কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন,”খুব ভালো, নিজের মেয়ের সম্মানের কথাটা মনে করে এই বয়সে যদি অফিসিয়াল চরিত্রটা ঠিক রাখতেন তাহলে আরও ভালো লাগতো।” অন্যজন বলেছেন,”এটা না করলেও এমন কিছু খারাপ হতো না। খুব একটা দরকার ছিল না। কিন্তু নিজের দুই মেয়ে আর অবশ্যই স্ত্রীকে যেভাবে ছেড়ে দিয়েছে মাঝরাস্তােই, ওটা খুবই লজ্জাজনক।
আরও পড়ুনঃ “ওর জন্যই আমায় থানায় যেতে হয়েছে!” “আমি অপরাধী ছিলাম না, আমায় বানানো হয়েছিল!” “জেল পর্যন্ত গিয়েছি, তাও শান্তি নেই!”— দেবচন্দ্রিমার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি! কাকে ইঙ্গিত করলেন টেলি অভিনেত্রী?
কারণটা যা জেনেছি, সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো আর সত্যিই কিছু বলার নেই… সত্যি ভাবা যায় না!” অনেকেই আবার বলছেন,”এসব করে কী লাভ? নিজের চরিত্রের দোষে যেটুকু সম্মান ছিল হারিয়েছেন। নিজের মেয়েকে যদি এইটুকু সম্মান দিতেন, তাহলেই হতো ” শেষে একটা কথাই বলা যায়, যতই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন চর্চায় থাকুক না কেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি সবসময় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। সৃজিত মুখার্জির আসন্ন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’তে আবার দেখা যাবে তাঁকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।