সুস্মিতা-দীপ্সিতার ডিভোর্সের মাঝেই মধুবনির সুখী দাম্পত্য নিয়ে ‘গ্যারেন্টি’ পোস্ট! মধুবনির জাহির করা ভালবাসা ঘিরে ক্ষোভ, চটলেন নেটিজেনরা! ‘অন্যের কষ্ট নিয়ে উপহাস করার কি মানে?’ ‘এই সময় এমন পোস্ট রুচিহীনতার পরিচয়!’— কটাক্ষবিদ্ধ মধুবনি!

নেটপাড়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই একরাশ হতাশার ছায়া। পরপর দুই টেলি অভিনেত্রীর (Television Actress) বিচ্ছেদের (Divorce) খবর যেন ছুরি চালাল দর্শকের আবেগে। প্রথমেই সামনে আসে ‘কূটনি বউদি’ তথা অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের ডিভোর্সের খবর। জন্মদিনের সকালটা যেখানে শুভেচ্ছায় ভরে ওঠে, সেখানে অভিনেত্রী নিজেই নিজের বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে মনখারাপ করালেন সকলকে। অনেকে এই খবরে হতবাক, কেউ কেউ মানতেই পারছেন না এই বাস্তবতা।

দীর্ঘদিনের সম্পর্কের এমন ভাঙন কেউ ভাবতেই পারেননি। এদিকে, সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে না হতেই আরও এক খবরে তোলপাড় হয় সমাজ মাধ্যমে। অভিনেত্রী দীপ্সিতা মিত্র ও অভিনেতা কৌশিক দাসের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে গেল চুপিসারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। সেই বিয়ে ছিল প্রেম করেই, সমাজ মাধ্যমে ছিল অগণিত ছবির সাক্ষ্য। তাঁদের সম্পর্ককে অনেকেই বলতেন ‘পারফেক্ট কাপল গোলস’।

অথচ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁরা এবার চললেন আলাদা পথে। ঠিক এই আবহেই সমাজ মাধ্যমে এক রকম উসকানি জোগালেন অভিনেত্রী ‘মধুবনি গোস্বামী’ (Madhubani Goswami)। রাজা গোস্বামীর সঙ্গে নিজের দাম্পত্যজীবন যে সুখের, তা বারবার প্রকাশ করে এসেছেন তিনি। এবারও ব্যতিক্রম হল না। দুই অভিনেত্রীর ডিভোর্স ঘোষণার মাঝে তিনি লিখলেন, তাঁদের সম্পর্কের “গ্যারেন্টি ছিল, আছে, থাকবে।”

পাশাপাশি যোগ করলেন, “আমাদের সম্পর্কে নজর জিনিসটা লাগে না।” মধুবনির এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত বিতর্ক। একাংশ মনে করছেন, এই সময় এমন পোস্ট রুচিহীনতার পরিচয়। অনেকেই বলেছেন, “ভবিষ্যতের কথা কেউই জানে না, আজকে দাঁড়িয়ে এত কিছু বলা মানে অন্যের কষ্ট নিয়ে উপহাস করা।” কেউ লিখেছেন, “আপনার এত জাহির করার প্রয়োজন নেই,

আরও পড়ুনঃ চন্দ্র নাকি সোহিনীর স্বামীর খু’নী! মেয়ের বয়সেই ফাঁস রহস্য! কাকাবাবুর প্রশ্নে ডামাডোল শুরু চন্দ্র-সোহিনী মধ্যে! সোহিনীর বাচ্চার আসল বাবা কে? চুপ চন্দ্র! এবার আইনি তদন্তের পথে হাঁটছে কমলিনী! ‘চিরসখা’য় বি’স্ফো’রক মোড়!

জীবন অনেক বড়, কী হয় কেউ জানে না।” নেটিজেনদের একাংশ তাঁর পোস্টকে কটাক্ষের সুরে ‘মূর্খতা’ বলেও উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল, সম্পর্ক যেমন ব্যক্তিগত অনুভব, তেমনি তা প্রকাশের ভঙ্গিও হতে পারে অন্যের অনুভূতির প্রতি স্পর্শকাতর। সুস্মিতা ও দীপ্সিতার ডিভোর্স যেখানে অনেকের মনে ক্ষতের মতো দাগ কেটেছে, সেখানে মধুবনির দাম্পত্য জয়গান যেন না চাইলেও তুলল বিতর্কের ঝড়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।