পর্দা থেকে হঠাৎ গায়েব! জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও কেন হারিয়ে গেলেন সঞ্জীব দাশগুপ্ত? বর্তমানে কোথায় আছেন অভিনেতা? কেন অভিনয় ছেড়ে দিলেন তিনি?

সময় আর নতুন মুখেদের ভিড়ে অনেক সময়ে জনপ্রিয় এবং দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা পর্দা থেকে হারিয়ে যান। তেমনই একজন টলিউড (Tollywood) অভিনেতা হলেন ‘সঞ্জীব দাশগুপ্ত’ (Sanjeev Dasgupta)। বাংলা বিনোদনের তাঁর অবদান অনেকটা। নায়ক থেকে শুরু করে খলনায়ক, এমনকি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেও তাঁর অভিনয় ছাপ রেখে গেলে সবার মনে। এক সময় কৌতুকের অভিনয়ও করেছিলেন। যে চরিত্রেই পর্দায় ধরা দিয়েছে, সেই চরিত্রই একেবারে সুপারহিট। অনেকদিন হলো তাঁকে আর পর্দায় দেখা যাচ্ছে না, এখন কি করছেন তিনি?

প্রসঙ্গত, তিনি ছোট থেকেই অভিনয়ের পরিবেশে বড় হওয়াতে, অভিনয়কেই নিজের পেশা বানাতে চেয়েছিলেন। অভিনয় জীবনের তাঁর প্রথম কাজ— বড় পর্দার ছবি ‘হংসরাজ’ (১৯৭৬)। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে আছে —সজনী গো সজনী, মালাবদল, স্ত্রীর মর্যাদা, যুদ্ধ, শুভদৃষ্টি, এম.এল.এ ফাটাকেষ্ট, ইত্যাদি। শেষবার তাঁকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০১৩ সালের ‘কাল আজ কাল’ ছবিতে।

একটা সময় উল্লেখ্য অভিনেতা যেমন – মিঠুন চক্রবর্তী, জিতের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০২ সালে ‘স্ত্রীর মর্যাদা’ এবং ‘আমার মায়ার শপথ’ ছবিগুলি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশিষ্ট শিল্পী ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গেও ১৯৯৭ সালে ‘দহন’ ছবিতে কাজ করেছেন। এরপর ২০০৬ তে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর আর তেমন বড় পর্দায় ছাপ ফেলতে পারেন নি।

চলে আসেন ছোট পর্দায়। সেখানেও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান সাবলীল অভিনয় দিয়ে। তাঁর সংলাপ বলার ধরন অভিব্যক্তি ও কণ্ঠস্বর দর্শকদের বিশেষভাবে পছন্দের। অনেক উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিকে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে একটা সময়ে। স্টার জলসার ‘দেবী চৌধরাণী’ ধারাবাহিকে ভবানী পাঠকের ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে দেখা যায় না কোনও পর্দাতেই!

আরও পড়ুনঃ অবশেষে মোহনার পর্দা ফাঁস, প্ল্যান করে সত্যিটা জানল আদৃত!

লাইনলাইট থেকে অনেকটাই দূরে, নিভৃতে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। কেন এতো সফলতার পরেও অভিনয় ছেড়ে দিলেন তিনি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রির কিছু বড় মাথার এক হয়ে তাঁকে একপ্রকার সরে যেতে বাধ্য করেছেন। বরাবর নিজের যোগ্যতায় কাজ পেয়েছেন, অন্যদের মতো অনুরোধ বা আবদারে বিশ্বাসী নন তিনি। সেই জন্য কাজের সংখ্যাও কম, তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।