স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে চলেছে দর্শকের মন। শুভর পরিচয় গোপন করে বাড়িতে থাকা এবং মোহনার ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়া—এই দুই বিষয় নিয়ে বাড়ির অন্দরমহলে চলছে টানাপোড়েন। অন্যদিকে আদৃতের সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছে লাকির প্রতি। সব মিলিয়ে ধারাবাহিকে চলছে জটিল সম্পর্কের মেলবন্ধন, আর এই সূত্র ধরেই আসছে একের পর এক চমক।
পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মোহনা পূরবীর মন জয় করার উদ্দেশ্যে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়, যা পরে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তুলি যাতে আর কখনও সমিতের নাগালে না আসে, তার জন্য এক দূরবর্তী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে আসে মোহনা। পূরবী প্রথমে অবাক হলেও পরে খুশি হয়, কারণ সে এমনই কিছু চেয়েছিল। এদিকে, মোহনা প্রদীপ নিভিয়ে দিতে গেলে শুভ তাকে ঠেলে সরিয়ে দেয়, এই নিয়ে সেবন্তী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়। এমনকি সবাই জানতে পারে যে মোহনা প্রেগন্যান্ট। তবুও তার প্রতি সহানুভূতির বদলে শুরু হয় প্রশ্নবাণ।
বাড়ির পুরনো ঐতিহ্যের প্রদীপ নিভিয়ে দিতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ঠাকুরমা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, মোহনাকে এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা একেবারেই উচিত নয়। তিনি শুভর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, বাড়ির সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব তার। তখনই আদৃত জানিয়ে দেয়, সে নিজে শুভকে বাড়ি পৌঁছে দেবে—যা দেখে সকলেই বিস্মিত হয়। শুভ বুঝে যায়, আদৃত তাকে সন্দেহ করতে শুরু করেছে এবং তার আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়াও এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
শুভ অর্থাৎ লাকিকে সে গাড়িতে করে পৌঁছে দিতে চায়, এবং নিজের মতো করে তার গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরপর সে সরাসরি পৌঁছে যায় স্টিফিনির বাড়িতে। স্টিফিনি তখন বাড়ির বাইরে, শুভ একাই ছিল বাড়িতে। আদৃত জল চাইলে শুভ তাকে ভিতরে নিয়ে যায় এবং তখনই আদৃতের নজরে পড়ে গোপাল। শুভ গোপালকে ভালোবাসে বলে দাবি করলেও আদৃত বুঝে যায়—এতদিন ধরে যে লাকি ছিল, সে আদৃত নয়, আসলে সে শুভ।