‘দু’বছর অপেক্ষা করো’—মিঠুনের সেই কথাতেই ভেঙে গিয়েছিল বিয়ে! এতদিন পরে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর!

একজন বাংলার নৃত্যশিল্পী, অন্যজন ভারতীয় সিনেমার ‘ডান্সিং স্টার’। দু’জনেরই যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল চলচ্চিত্র জগতেই, আর সেই পথেই একসময় কাছাকাছি এসেছিলেন মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে এই জুটিকে ঘিরে নানা জল্পনা চললেও, এ বিষয়ে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি মমতা। কিন্তু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই পুরনো অধ্যায় নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন তিনি।

সত্যজিৎ রায়ের ‘মৃগয়া’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় থেকেই ঘনিষ্ঠ হন মিঠুন ও মমতা। সেই সময় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় নানা গুঞ্জন রটে। এমনকি অনেকের দাবি, তাঁদের বিয়ের দিন-তারিখ পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মমতা শঙ্কর বিয়ে করেন, ঠিক সেই সময়েই প্রথমবার বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীও। তাহলে কী সত্যিই কোনও সময় তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করার কথা ভেবেছিলেন?

এক সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর জানান, হ্যাঁ, সম্পর্কটা ছিল এবং তাঁদের বিয়ের তারিখও একসময় ঠিক হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। অনেকেই মনে করেছিলেন, মিঠুনের সঙ্গে বলিউডের অন্যান্য নায়িকাদের ঘনিষ্ঠতা জানার পরেই এই সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন মমতা। কিন্তু অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘ও বলেছিল কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু সেটা আমাদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ ছিল না।’’

মমতা শঙ্করের কথায়, যখন তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়, তখন মিঠুনের হাতে বিশেষ কাজ ছিল না। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ একের পর এক সিনেমার অফার আসতে শুরু করে তাঁর কাছে। সেই সময় মিঠুন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমি বিয়ে করতে পারব না, আমাকে দু’বছর সময় দাও।’’ কিন্তু এই দীর্ঘ অপেক্ষা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি মমতার পক্ষে, আর তাই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ ঘটে।

আরও পড়ুনঃ “আমায় কেউ ডাকছে না”— বড়পর্দা আজও দূরে, নিজের জায়গায় খুশি তৃণা সাহা! ‘খড়কুটো’র গুনগুন থেকে ‘পরশুরাম’-এর নায়িকা, টিভিতে রাজ করছেন তৃণা! কিন্তু সিনেমায় কেন এতটা নীরবতা? কি জানালেন তিনি?

যদিও এই সম্পর্ক ছাদনাতলা অবধি না পৌঁছলেও, দু’জনের মধ্যে তিক্ততা কখনও আসেনি। বরং দীর্ঘদিন পরও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। শেষ ‘প্রজাপতি’ ছবিতে আবারও একসঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তীকে। বন্ধুত্বের সেই পরিণত রূপই যেন আরও একবার দর্শকদের মনে উষ্ণতা ছড়ায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।