কমলিনীকে ফাঁসাতে গিয়ে মা-ছেলে দুজনেই জালে! বিপাকে চন্দ্র, আদালতে মায়ের মুখ ফসকে সব ফাঁস! মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে চন্দ্রের সম্মান! এবার মানসিক হেনস্থার পাল্টা মামলার হুশিয়ারি কমলিনীর!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, চন্দ্র ও কমলিনীর বিচ্ছেদ ঘিরে আদালতের জেরার মাঝেই শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। শুরুতেই চন্দ্রের মাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কমলিনীর উকিল। তিনি জানতে চান, সত্যিই কি চন্দ্রের মায়ের কাছে কোনও প্রমাণ আছে যে, কমলিনী নতুনের সঙ্গে পরকীয়া করছে? প্রাথমিকভাবে দ্বিধায় থাকলেও, চন্দ্রের মিথ্যা কথা বলার পরামর্শে শেষমেশ তিনি বলেন, হ্যাঁ—তিনি নিজের চোখে দেখেছেন এই সম্পর্ক। যদিও এই মিথ্যে বেশিক্ষণ টেকেনি।

আদালতের কড়া জেরার মুখে পরে আসল সত্যিটা ফাঁস হয়ে যায়। জেরা চলাকালীন উকিল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন—চন্দ্র দীর্ঘদিন পর ফিরতেই বাড়িতে এক মহিলার আগমন ঘটে, যিনি নিজেকে চন্দ্রের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন, এমনকি একটি মেয়েকে তার সন্তান হিসেবে পরিচয় দেন। এই কথার প্রেক্ষিতেই চন্দ্রের উকিল প্রতিবাদ জানান, এক বৃদ্ধাকে আদালতে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে। তবে বিচারক উকিলকে প্রশ্ন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। আর তখনই চন্দ্রের মা আর মিথ্যে ধরে রাখতে পারেন না।

Chiroshokha, Star Jalsha, Aparajita Ghosh Das, Sudip Mukherjee, Leena Ganguly, Shinjinee Chakraborty, Rajannya Mitra, Raja Goswami, Vivaan Ghosh, Anashua Majumdar, Serial Update, Chiroshokha today episode, চিরসখা, স্টার জলসা, রঞ্জনা মিত্র, সুদীপ মুখার্জী, অপরাজিতা ঘোষ দাস, লীনা গাঙ্গুলি, অনুসূয়া মজুমদার, রাজা গোস্বামী, সিরিয়াল আপডেট, চিরসখা আজকের পর্ব

স্বীকার করে নেন, এমন এক মহিলা এসেছিলেন, কিন্তু সবটাই চন্দ্রকে ফাঁসানোর চেষ্টা বলে চালিয়ে দেন তিনি। এরপর আদালতের সেই দিনের কাজ শেষ হয় এবং মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ২৮ জুলাই। পরদিন সকালে দেখা যায়, কমলিনী তার ফটোগ্রাফি কম্পিটিশনের জন্য বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই শুরু হয় বাড়ির সদস্যদের জেরা। শাশুড়ি জানতে চান এত সকালে কোথায় যাচ্ছে সে, উত্তরে কমলিনী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে কারও প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয়।

ছেলে বাবিল জানতে চাইলে, কমলিনী জানায় সে শহরের বাইরে নতুনের সঙ্গে কেবল ছবি তুলতে যাচ্ছে এবং সন্ধ্যের আগেই ফিরবে। এই সুযোগে শাশুড়ি, চন্দ্র এবং বর্ষা তিনজনে মিলে আবারও শুরু করে কমলিনীকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা। যদিও আগের মতো কমলিনী এখন আর কোনও কথায় চুপ থেকে না, সে জানে নিজের স্বপ্নের মূল্য কীভাবে রক্ষা করতে হয়। বরং চন্দ্রের প্রতিটি কথার যোগ্য জবাব দিতে সে এখন দক্ষ। চন্দ্রের সম্মান কোথায় যেন মাটিতে মিশে গেছে—নিজের সন্তানের কাছেও সে অপমানিত হচ্ছে, তবু কোনও অনুশোচনা নেই তার মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ “ড্রি’ঙ্ক করত, একটু উ’গ্র ছিল, খুব কাছের কিছু মানুষের জন্য ওর এই অবস্থা হয়েছিল… কিন্তু ওর মতো অভিনেত্রী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার”— মহুয়ার মৃ’ত্যু নিয়ে বি’স্ফোরক মন্তব্য অনামিকা সাহার!

শেষে কমলিনী তার শাশুড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে জানায়, আগে যেভাবে তিনি শাশুড়ির জন্য সম্মান আর আবেগ রাখতেন, এখন আর তেমন কিছুই বাকি নেই। কারণ এই বাড়ির কেউ তাকে পরিবারের সদস্য বলেই মনে করে না। বরং সবাই মিলে তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করছে। তাই আগামী দিনে প্রয়োজনে সে এই মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করবে। শেষকথা বলে সকলকে সাবধান করে সে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়।