এক সময় বাংলার ছোটপর্দায় ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ‘মা’ (Maa) ধারাবাহিকের সেই খুদে মুখ আজও অনেক দর্শকের মনে গেঁথে আছে। ‘ঝিলিক’ ওরফে ‘তিথি বসু’ (Tithi Basu) নামটা তখন বাঙালির বৈঠকখানার অতি পরিচিত। রোজ সন্ধ্যে হলেই বাঙালি, পর্দায় তাঁকে দেখার জন্য উৎসাহী থাকতেন। শুধু ধারাবাহিক নয়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বন্ধু’ ছবিতেও শিশুশিল্পী হিসেবে নজর কেড়েছিলেন। তবে তার পর অনেকটাই যেন অন্তরালে চলে যান তিথি।
ক্যামেরার সামনের সেই নিয়মিত উপস্থিতি আজ আর নেই। কিন্তু তা বলে অভিনয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাননি এই প্রাক্তন খুদে তারকা। এই দীর্ঘ বিরতির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ছোটবেলায় যখন অভিনয় শুরু করেন, তখন সব সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাবা-মায়ের হাতে। সেই সময় পড়াশোনাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। স্কুলের গন্ডি ছাড়িয়ে পরবর্তীকালে কলেজ জীবনেও অভিনয় করেন ‘ময়ূরপঙ্খী’ ধারাবাহিকে।
কিন্তু তারপরই আসে করোনা এবং দেশজুড়ে লকডাউন। তিথির অভিনয়ের কেরিয়ারেও যেন সেখানে দাঁড়ি পড়ে যায়। তবে এই সময়টা একেবারে অভিনয়শূন্য ছিল না। লকডাউনের পরেও বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু স্ক্রিপ্ট বা চরিত্র তেমনভাবে পছন্দ না হওয়াতেই সেগুলি গ্রহণ করেননি তিনি। পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও হয়েছে তিক্ত। একাধিকবার তাঁকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর শেষ মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও না কোনও অজুহাতে।
এই সমস্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও তিথি আশাবাদী, ধৈর্যই একমাত্র ভবিষ্যতের চাবিকাঠি— মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, এখন তিনি সমাজ মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাঁর ভ্লগের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। ভ্লগিংয়ের দুনিয়ায় নিজেকে গড়ে তুললেও, তিথির মূল ভালোবাসা কিন্তু এখনও অভিনয়। তার কথায়, “ভ্লগিং অনেক পরে এসেছে। অভিনয়ই আমার আসল পেশা।”
আরও পড়ুনঃ অঞ্জন-মমতার ‘পুরনো প্রেম’ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে! দু’জনের মধ্যে আজও রয়ে গেছে অপূর্ণতার রেশ! বছর ঘুরে ফের মুখোমুখি অঞ্জন-মমতা, সম্পর্কের পুরনো সুর কি ফের বাজবে?
তিনি এখন অপেক্ষা করছেন এমন একটি চরিত্রের জন্য, যেখানে নিজের প্রতিভা আরও একবার তুলে ধরতে পারবেন। আলো, ক্যামেরা, অ্যাকশনের সেই চেনা পৃথিবীতে ফিরতে চান তিনি। তিথির চোখে এখনও ঝলমলে স্বপ্ন। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, অধ্যবসায় আর ধৈর্য নিয়ে নতুন করে পথচলার অপেক্ষায় তিনি। দর্শকও অপেক্ষায়, আবার একদিন পর্দায় ফিরবে সেই চেনা মুখ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।