টলিউডে (Tollywood) যখন একের পর এক নতুন ছবি, নতুন জুটি, নতুন ঘরানার আবির্ভাব ঘটছে, ঠিক তখনই দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরছে এক পুরনো কিন্তু বহু প্রতীক্ষিত ছবি। ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) —প্রায় ৯ বছর আগে শ্যুট হওয়া এই ছবি অবশেষে ১৪ তারিখ আসছে প্রেক্ষাগৃহে। আর এই ফিরে আসার পিছনে লুকিয়ে আছে গল্প, স্মৃতি, আবেগ আর অনেকটা প্রত্যাশা। দেব (Dev) এবং শুভশ্রীর (Shubhasree) একত্রে কামব্যাক, তাও আবার পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নির্মাতার হাত ধরে—এ যেন স্বপ্নের মতো।
এই ছবির অংশ হতে পেরে খুশি প্রবীণ অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ ‘চিরঞ্জিত চক্রবর্তী’ (Chiranjeet Chakraborty)। যদিও তাঁর চরিত্রটি ছবিতে ছোট, কিন্তু তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আর সেখান থেকেই দেবকে নিয়ে তাঁর উপলব্ধি স্পষ্ট—আজকের দিনে দেব টলিউডের অন্যতম পরিণত এবং বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা। অভিনয় নিয়ে তাঁর কাজ করার পদ্ধতি, চরিত্র নির্বাচন এবং নিজের স্ক্রিপ্ট সেন্স—সব কিছুতেই এক নতুন পরিপক্বতা এসেছে বলে মনে করেন চিরঞ্জিত।
বর্ষীয়ান অভিনেতার মতে, দেব আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে গল্প এবং স্টারডম—দুটোরই ভারসাম্য বজায় রাখছে নিপুণভাবে। চিরঞ্জিত অকপটে স্বীকার করেছেন, এখনকার দিনে দেব অনেকটাই এগিয়ে। তাঁর কথায়, জিৎ হয়তো কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তবে তুলনার বাইরেও, চিরঞ্জিত দেবের প্রতি তাঁর বিশ্বাস এবং প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন। ‘খাদান’-এর পর ‘ধূমকেতু’—এই জার্নিতে চিরঞ্জিতের কাছে দেব এমন একজন অভিনেতা হয়ে উঠেছে,
যে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে জানে—অ্যাকশন, পরিবার কিংবা সামাজিক বার্তা—সব দিকেই সে সক্ষম। ‘ধূমকেতু’ নিয়ে তাঁর আবেগ একেবারে আলাদা। ছবির শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বরফে দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া ঠান্ডা, দলের পরিশ্রম—সবই যেন মনে গেঁথে আছে। তাঁর মতে, ছবিটি যদি আজকের প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক কলাকুশলীদের নিয়ে তৈরি হত, তবে আরও নিখুঁত হতে পারত। কিন্তু তবুও, সেই সময়ে যা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে খুশি।
আরও পড়ুনঃ “কোনও ঘটনার অর্ধসত্য জেনে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই!” “আমার কথায় অন্যের মানসিক অস্থিরতা হোক, সেটা আমি চাই না!”— সাক্ষাৎকার এড়িয়ে চলার কারণ জানালেন রজতাভ দত্ত! খোলসা করলেন কেন মিডিয়ার সামনে আসেন না তিনি!
তাঁর মতে একটি সুন্দর স্মৃতি এবং শক্তিশালী প্রয়াস। সব শেষে, দেব-শুভশ্রীর ম্যাজিক নিয়ে চিরঞ্জিতের মতও স্পষ্ট—এই জুটির মধ্যে একটা চিরকালীন আকর্ষণ আছে। ৯ বছর আগের তৈরি এই ছবি আজকের দিনে দর্শকের মন জয় করতে পারে কি না, তা সময় বলবে। তবে চিরঞ্জিত চান, এই জুটি আরও একবার একসঙ্গে পর্দা শাসন করুক। কারণ, এমন কামব্যাক শুধু রোম্যান্টিক নয়, ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও এক ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।