বাংলা বিনোদন জগতের (Tollywood) প্রতিভাবান এবং শক্তিশালী অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম নাম ‘রজতাভ দত্ত’ (Rajatava Dutta)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজস্ব স্টাইল ও অভিব্যক্তির মাধ্যমে পর্দা মাতিয়ে এসেছেন। কখনও দুর্ধর্ষ খলনায়ক, কখনও কঠিন চরিত্রের বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ, আবার কখনও হাস্যরসাত্মক ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে। কমার্শিয়াল সিনেমা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, ভিন্নধারার গল্প—সবক্ষেত্রেই তাঁর অভিনয়ে প্রমাণ করেছে তিনি নিছক এক অভিনেতা নন, টলিউডের এক সম্পদ।
তবে এত বছরের কেরিয়ারে, যেখানে অনেক তারকাই নিয়মিত খবরে থাকেন, সেখানে রজতাভ দত্ত যেন বরাবরই থেকেছেন আড়ালে? তাঁকে নিয়ে খুব একটা সাক্ষাৎকার চোখে পড়ে না, সমাজ মাধ্যমেও নেই কোনও তৎপরতা। এই নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই এর পিছনের কারণ ব্যাখ্যা করলেন অভিনেতা। বললেন, নতুন কাজ বা চরিত্র ছাড়া অহেতুক মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশ করার প্রবণতা তাঁর নেই।
রজতাভর মতে, চারপাশে নানা ঘটনা ঘটে চলেছে, কিন্তু যেহেতু তিনি সামাজিক মাধ্যমে নেই, তাই প্রতিদিনের হালচাল সম্পর্কে আগাম জ্ঞান তাঁর থাকে না। কেউ ফোন করে কোনও ঘটনার প্রতিক্রিয়া চাইলে, তিনি দ্বিধায় পড়েন—ঘটনাটি কতটা সত্যি, তা যাচাই না করেই কীভাবে মত দেবেন? অর্ধসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে মুখ খুলতে চান না তিনি। আর অভিনেতা হিসেবে তাঁর এই সংযমকেই অনেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় বলেই মনে করেন।
একই সঙ্গে রজতাভ স্পষ্ট করে বলেন, বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যাধি হলো ট্রোল কালচার। কেউ যদি সাধারণের ভাবনার বাইরে গিয়ে কিছু বলেন, তাঁকে ঘিরেই শুরু হয় কটাক্ষের বন্যা। যদিও তিনি এসবকে গুরুত্ব দেন না, কারণ নিজে সামাজিক মাধ্যমে নেই বলেই সেসব দেখার বা জানার উপায় নেই। কিন্তু চারপাশের কাছের মানুষদের মনে তার প্রভাব পড়ে, এবং সেখানেই আসে তাঁর দ্বিধা। অন্যদের অস্বস্তিতে ফেলতে চান না বলেই অনেক সময় নিজেকে সরিয়ে রাখেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে।
আরও পড়ুনঃ “সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাস হবে না, দেখি কার কত দম আছে!”— স্মার্ট ক্লাস নিয়ে আপত্তি স্থানীয় বিধায়কের! চুঁচুড়ায় ফুঁসে উঠলেন সাংসদ রচনা! বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি!
এই স্পষ্টভাষী, গম্ভীর অথচ সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গিই রজতাভ দত্তকে আলাদা করে দেয় সমসাময়িক তারকাদের ভিড় থেকে। তাঁকে ঘিরে কোনও গ্ল্যামারাইজড প্রচার নেই, নেই সাজানো সমাজ মাধ্যমে প্রোফাইল। আছে শুধুই অভিনয় আর চরিত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে অনেকেই লাইমলাইটে থাকার জন্য নানা কৌশল নেন, সেখানে রজতাভ দত্তর মতো একজন শিল্পীর এই একান্ত নির্লিপ্ততা তাঁর সততা এবং ব্যতিক্রমী মানসিকতার সাক্ষ্য দেয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।