“যারা সমালোচনা করেছে, শিরোনামে আসার জন্যই করেছে!” “সমালোচকদের কখনও পাত্তা দিই না, এটা আমার কাজ আর আমি করবই!”— চন্ডালিকা কান্ডে সমালোচিত হয়েও ঝুঁকতে নারাজ দেবলীনা !

জুলাই মাসের মাঝামাঝি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চণ্ডালিকা’কে (Chandalika) আধুনিক ভাবনায় তুলে ধরতে গিয়ে বেশ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী ‘দেবলীনা দত্ত’ (Debolina Dutta) ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ (Dance Bangla Dance) -এর বিশেষ এক পর্বে প্রতিযোগী অনুষ্কার সঙ্গে মঞ্চে দেবলীনার পরিবেশিত এই নৃত্যনাট্যে ‘আঁধি’ সিনেমার হিন্দি গান জুড়ে দেওয়াকেই ঘিরে দর্শকদের একাংশ তীব্র আপত্তি জানান। কেউ কেউ একে রবীন্দ্র রচনার অপমান বলেও ব্যাখ্যা করেন।

প্রাচীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী রূপে দেবলীনার গেরুয়া বসন, ন্যাড়া মাথার মেকওভার দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে ঠিকই, কিন্তু তার পাশাপাশি হিন্দি গানের সংযোজনকে ঘিরে উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। অনেক বর্ষীয়ান শিল্পী যেমন মালবিকা সেন, মমতা শঙ্কররাও এই মঞ্চ উপস্থাপনাকে ‘অপসংস্কৃতি’র দিকে এগিয়ে যাওয়া বলে কটাক্ষ করেন। এমনকি সাধারণ দর্শকদের একাংশের মত, এই প্রজন্ম আদৌ রবীন্দ্রনাথের শিল্পবোধ ও ভাবনার গভীরতা বোঝে কি না, সেটাই এখন প্রশ্নের বিষয়।

এই ঘটনার পর দেবলীনা একসময় সমাজ মাধ্যমে দাবি করেন, ‘চণ্ডালিকা’ তাঁর হৃদয়ের একান্ত প্রিয় সৃষ্টি এবং তিনি বহুবার এই নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। প্রেম, ধর্ম ও সমাজব্যবস্থার দ্বন্দ্বের মাঝখানে প্রকৃতি ও আনন্দের রসায়ন নিয়েই ছিল তাঁর মঞ্চ ভাবনা। যদিও তার সেই ব্যাখ্যা দর্শক-সমালোচক মহলের অনেকের মন জয় করতে পারেনি। সেই সময় পর থেকে অবশ্য দেবলীনা আর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে সম্প্রতি একটি বাংলা ছবির প্রিমিয়ারে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

প্রশ্নের সঙ্গে সেই পুরনো বিতর্ক ফের সামনে আসে। তখনই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, “সমালোচনা খারাপ লাগেনি, কারণ যারা করেছে তারা কখনওই আমার হৃদয়ের কাছে ছিল না। যারা মূলত এসব বলেছেন, তাঁরা শিরোনামে আসার জন্য বলেছেন। আর ঘটনাচক্রে তারা সেটা পেয়েছেন, আমার কাছের মানুষ হলে তো সে আর সমাজ মাধ্যমে লিখতো না। বরং সামনে এসে বলতো, এমনিতেই এতদিন যাদের কাছের মনে করেছি, এখন দেখছি একই। সুতরাং খারাপ লাগার বিষয় নয়, কারণ সহকর্মীরাও সমাজেই পড়ে।

আরও পড়ুনঃ  মধুবনীর নতুন ব্যবসার শুরুতেই বিতর্ক! ‘রাজা-মধুবনী কালেকশন’-এর ব্যাগের ডিজাইন থেকে দাম, সবকিছুতেই ক্ষোভ উপচে পড়ছে! “এই ব্যাগ ক্লাসি? ১০০ টাকার ফুটের মাল!” “ফ্রি তে দিলেও নেব না!”— কটাক্ষ নেটপাড়ার!

আর সমাজ তো কথা বলবেই, এটা আমার কাজ তাই ভবিষ্যতেও আমি করবো। যাদের সমস্যা চন্ডালিকা নিয়ে, তাঁরা দয়া করে নন্দলাল বসুর আঁকা ১৯৬২ সালের চন্ডালিকা ছবিটা দেখে আসুন। আশাকরি অনেকটা বুঝতে পারবেন।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট যে, নিজের ভাবনা ও মঞ্চকর্ম নিয়ে দেবলীনা আত্মবিশ্বাসী এবং ভবিষ্যতেও তিনি এমন কাজ করে যেতে চান যা নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক হতে পারে, তবুও তিনি নিজের বিশ্বাস থেকে সরে আসবেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।