দুই সন্তানের মা হয়ে গিয়েও এখন‌ও বাবার কাছে বকা খান কোয়েল মল্লিক! বকা খেয়ে কি করেন অভিনেত্রী?

পুজোর সময় অন্যরকম উচ্ছ্বাসে মল্লিক বাড়ি ভরে ওঠে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই বাড়িতে দুর্গাপুজোর ধুম দেখা গেল, কিন্তু এবারের পুজো বিশেষ হয়ে উঠেছে নতুন অতিথি কোয়েল মল্লিকের জন্য। প্রথমবারের মতো কাব্যকে নিয়ে কোয়েল পুজোর আনন্দ অনুভব করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে ভয় ছিল—“এত আওয়াজ, এত গরম, এত মানুষ! হয়তো কাব্য কেঁদে দেবে।” কিন্তু অষ্টমীর সকাল থেকেই কাব্য এক মুহূর্তও কাঁদেনি। কোয়েল বলেছেন, “কাব্যকে সাজাচ্ছি, তখন নিজের ছোটবেলায় ফিরে যাচ্ছি।”

প্রতিবছরের মতো এবারের পুজোর সাজসজ্জা ছিল চোখ ধাঁধানো। পুরো পরিবার ছেলেমেয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ম্যাচিং করে জামা-কাপড় পরেছিল। কোয়েল জানিয়েছেন, পুজোর সময় তিনি কোনো ডায়েট মানেন না, বরং ভাজা লুচি তাঁর প্রিয়। মল্লিক বাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী পুজোর সময় প্রথম কয়েকদিন শুধু নিরামিষ রান্না হয়, আর দশমীর পরেই সব ধরনের খাবার স্বাভাবিকভাবে পরিবেশিত হয়।

কোয়েল শুধু নিজের ছোটবেলায় ফিরে যাননি, বরং পরিবারের সবাই—দাদা, দিদি, বাবা—ও সেই মুহূর্তে তাদের শৈশবের স্মৃতিতে ডুবে যান। তিনি হাসিমুখে বলেন, “আমার বাবা এখনও আমাকে বকা দেয়, কিন্তু সবার সামনে যখন বকেন, তখন আমাকে মনে করিয়ে দিতে হয় যে আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি। তাই বাবা এখন বকার স্টাইল অন্যরকম করেছে।” এই সব ছোটখাটো মুহূর্তের মধ্য দিয়েই পুজোর আনন্দ আরও বাড়ে।

পুজোর আনন্দ শুধুই পারিবারিক নয়, দর্শকদের জন্যও এটি উৎসবের মতো। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “এবছর বাংলায় চারটে সিনেমা রিলিজ করছে, দর্শকরা অবশ্যই চারদিনে এই চারটি সিনেমা দেখতে যাবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন “আনন্দটাই সব, নিজের আনন্দে অন্যকেও আনন্দ দেওয়া যায়।” তার বাবা রঞ্জিত মল্লিক জানান, “১০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে এই পুজো একইভাবে চলছে। এবারের ১০১তম পুজোয় কোনো বড় পরিবর্তন চোখে পড়েনি।”

আরও পড়ুনঃ দুর্গা মূর্তির সামনে কেক কেটে, ঠাকুরকে উৎসর্গ করে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস! ‘নাটক, ন্যাকামির শেষ নেই’ অভিনেত্রীকে কটাক্ষ নেট পাড়ার

অন্যদের কাছে পুজো শুধু উৎসব, কিন্তু মল্লিক বাড়ির জন্য এটি মিলনের সময়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আত্মীয়-স্বজন এই সময় সবাই বাড়িতে ফিরে আসে। এবারের নতুন সংযোজন ছিল কাব্য। কোয়েল জানিয়েছেন, “কাব্য এখনও ছোট, ও কিছু বোঝে না, শুধু কোলে বসে ঘুরছে। ওর বাবা প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোয় তেমন একটা কোন কাজ করে না কিন্তু এবছর কোলে নিয়ে কাব্যকে ঘোরানো একটা নতুন কাজ হয়েছে। এবার এটি নতুন অভিজ্ঞতা।” এই ছোট ছোট নতুন মুহূর্তগুলোই মল্লিক বাড়ির পুজোকে বিশেষ করে তুলেছে।