স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালতে চন্দ্র-কমলিনীর বিচ্ছেদ মামলার পরবর্তী শুনানি চলছে। চন্দ্রের উকিল অয়নদীপ প্রথমেই কাঠগড়ায় ডাকে স্বতন্ত্রকে। চন্দ্র সাজানো গুটি অনুযায়ী স্বতন্ত্রকে প্রশ্ন করেন উকিল, কমলিনীর সঙ্গে রাত কাটানো নিয়ে। পাল্টা জবাব দিতে কমলিনীর উকিলও তৈরি। স্বতন্ত্রকে জানতে চান উকিল, যে তিনি কোথায় কাজ করেন।
স্বতন্ত্র জানায়, সে সাইন্স ইনস্টিটিউটের একজন অধ্যাপক এবং ডিন। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে থাকেন, কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে যখন তখন তাকে ইনস্টিটিউটে যেতে হয়। গতকাল স্বতন্ত্র কোথায় ছিল এই নিয়ে উকিল প্রশ্ন করতেই, স্বতন্ত্র জানায় যে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই মামলার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। অয়নদীপ বলে তার মক্কেল এখনও বিবাহিত এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বতন্ত্র ঘুরতে যাবে, রাত কাটাবে সেটা অবশ্যই মামলার অন্তর্গত!
তাকে আটকে দিয়ে কমলিনীর উকিল জানান, কমলিনী একজন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা। তার নিজস্ব স্বাধীনতা আছে, কোথায়-কখন-কার সঙ্গে যাবেন, তাকে নিশ্চয়ই জোর করা হয়নি! অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর, কমলিনী আদালতের কাছে আবেদন করে কিছু বলার। কাঠগড়ায় এসে কমলিনী পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়, স্বইচ্ছায় সে স্বতন্ত্র বোসের সঙ্গে গিয়েছিল। চন্দ্রের উকিলের কথায় কেন স্বামী থাকতে পর পুরুষের সঙ্গে যেতে হয়েছে।
এর উত্তরে কমলিনী জানায়— প্রথমত যার সঙ্গে মামলা চলছে তাকে ব্যক্তিগত বিষয় জড়াবে না, আর দ্বিতীয়ত সন্তানেরা নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিল এবং বড় সন্তানকে তিনি মানসিকভাবে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। কাজেই স্বতন্ত্রকে তিনি সঙ্গী করেছিলেন। কমলিনী আরও বলে, তার স্বামী যখন কুড়ি বছর ছিলেন না, তখন স্বতন্ত্রই পরিবারের যে কোনও ভ্রমণের দায়িত্ব নিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ফটোগ্রাফি কম্পিটিশনের ছবি তুলতে নিয়ে যেতে স্বতন্ত্রকে কমলিনীআর উপযুক্ত মনে হয়।
তাছাড়াও কমলীনী স্পষ্ট করে দেয়, ঝড়-বৃষ্টির কারণেই তারা সেই জায়গা থেকে রাতে ফিরতে পারেনি। দুটো ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়েছে। উল্টে চন্দ্র তার চরিত্রে দাগ লাগাতে মিসিং ডায়েরি করে ঘটনাটাকে আরও জটিল বানিয়েছে। কমলিনী কথা থামাতেই হাততালি দেয় সকলে। এরপর কমলিনীর উকিল আদালতকে জানায়, বউয়ের অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় যদি চন্দ্রের আপত্তি থাকে তাহলে ডিভোর্স কেন দিচ্ছে না!
আরও পড়ুনঃ “অপমান হজম করে বাড়িতে কেঁদেছি, কাউকে কখনও কষ্ট দিইনি!”— নিরব সংগ্রামে গড়া জীবনের গল্প শোনালেন এষা ভট্টাচার্য! অভিনয় না জেনেই জয় করেছিলেন পর্দা, ক্যা’ন্সার জয় করেও ফিরেছেন আবার! জীবনকে ভালোবাসার পাঠ দিলেন তিনি
উকিল আরও বলেন, কমলিনী একজন বছর ৫৫ -এর মহিলা। তার নিজস্ব কিছু ইচ্ছা-অনিচ্ছা রয়েছে, এতদিন যেখানে বাড়ির সকলের চোখে স্বতন্ত্র-কমলীর সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ করে দ্বিতীয় বউ, বাচ্চা ফেলে চন্দ্রের ফিরে আসাতেই সেটা অস্বাভাবিক হচ্ছে কি করে! সাক্ষ্য হিসাবে কমলিনীর উকিল কুর্চিকে কাঠগড়ায় ডাকে। সম্পর্কে কুর্চি-অয়নদীপ স্বামী-স্ত্রী, কুর্চি ঠিক করে তার অত্যাচারী স্বামীর ওকালতির পর্দা ফাঁস করে দেবে সে।