‘মিনি’—এই নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে এক নিষ্পাপ মুখ, একরত্তি মেয়ের প্রাণবন্ত চাহনি। ১৯৬১ সালে নির্মিত ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবির এই মিনি চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে বহু দশক পরেও তার নাম উচ্চারিত হয় ভালোবাসা নিয়ে। কিন্তু বাস্তব জীবনে যিনি এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেই খুদে অভিনেত্রীর নাম আজও অনেকের অজানা। তাঁর নাম ছিল ঐন্দ্রিলা ঠাকুর, টিংকু ছিল তাঁর ডাকনাম। ছোটবেলায় দেশের কোটি দর্শককে মুগ্ধ করা এই মেয়ের জীবন, বড় হয়ে যেন নিখোঁজ এক অধ্যায়।
ঐন্দ্রিলা ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের মেজো বোন। পরিবারে এমন একজন বড় বোনের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও অভিনয়জগতে আর দেখা যায়নি তাঁকে। ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবি ছাড়া তাঁর অন্য কোনও উল্লেখযোগ্য কাজের খবর নেই। তিনি নিজে আর কাজ করেননি, নাকি কাজ পাননি—এই বিষয়ে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য মেলেনি। অথচ তাঁর একটিমাত্র অভিনয়ই ছিল যথেষ্ট স্মরণীয়।
পরবর্তী জীবনে জানা যায়, ঐন্দ্রিলা খেলাধুলার জগতেও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। তাঁর এই পেশাগত জগতগুলোর মধ্যে কেনও ধারাবাহিকতা থাকল না, সেটাও থেকে যায় এক ধোঁয়াশার বিষয়। না তিনি কোনও সাক্ষাৎকারে কিছু জানিয়েছেন, না সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
ঐন্দ্রিলার বিয়ে হয়েছিল পাশের পাড়াতেই, এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর ছিল এক পুত্রসন্তান। কিন্তু পরিবার নিয়ে কোথাও কোনও বিশদ তথ্য পাওয়া যায় না। জনজীবনে তাঁর উপস্থিতি ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তিনি কোনও সময়ে আলোচনায় আসেননি, সংবাদেও উঠে আসেননি।
আরও পড়ুনঃ আদালতে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্রের সম্মান রক্ষায়, নিজের চরিত্র নিয়ে প্রশ্নের জবাব কমলিনীর! কাঠগড়ায় ভাঙল কমলিনীর বহু বছরের নীরবতা, মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দ্রের চক্রান্ত! স্বতন্ত্রের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়ে আদালতে অপদস্থ চন্দ্রের উকিল!
আরও পড়ুনঃ আদালতে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্রের সম্মান রক্ষায়, নিজের চরিত্র নিয়ে প্রশ্নের জবাব কমলিনীর! কাঠগড়ায় ভাঙল কমলিনীর বহু বছরের নীরবতা, মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দ্রের চক্রান্ত! স্বতন্ত্রের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়ে আদালতে অপদস্থ চন্দ্রের উকিল!
মাত্র ৪০ বছর বয়সেই থেমে যায় ঐন্দ্রিলা ঠাকুরের জীবন। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ আজও অজানা। এমনকি সংবাদপত্রে বা কোনও নির্ভরযোগ্য উৎসেও তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই। বহু ইউটিউব বা ব্লগে ভুলভাবে বলা হয়েছে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বা কাজ পাননি—এই তথ্যগুলির কোনও প্রমাণ মেলে না। একসময় পর্দা কাঁপানো ‘মিনি’ যেন নিঃশব্দে মিলিয়ে গেলেন ইতিহাসের পাতায়, রেখে গেলেন একরাশ বিস্ময় আর অপূর্ণ প্রশ্ন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।