টলিউডের জয়যাত্রা শুরু, হিন্দি ছবির দাপটের ইতি! বছরের প্রতিদিন প্রেক্ষাগৃহে প্রাইম টাইমেই চলবে বাংলা সিনেমা! ‘নো শো শেয়ারিং’ নীতির পাল্টা, রাজ্য সরকারের বড় ঘোষণা!

বাংলা চলচ্চিত্রের (Tollywood) জন্য রাজ্য সরকারের তরফে মিলল বড়সড় সুখবর! আজকের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এখন থেকে রাজ্যের সব সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্সে বছরের প্রতিটি দিন প্রাইম টাইমে অন্তত একটি বাংলা সিনেমা (Bengali Film) প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হবে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্ধারিত এই সময়সীমায় প্রতিদিন অন্তত একটি শো চলবে বাংলা ছবির। এই উদ্যোগকে অনেকেই বলছেন বাংলা ছবির জন্য এক নতুন যুগের সূচনা, যা বলিউডের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অসম প্রতিযোগিতায় টলিউডকে নতুন শক্তি যোগাবে।

এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীরা যে পরিমাণে এগিয়ে আসছেন, তাতে বাংলা ছবির প্রসারে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল। তিনি মনে করেন, সরকারী এই সিদ্ধান্ত কেবল শিল্পীদেরই নয়, গোটা শিল্প জগতেরই উন্নতি ঘটাবে। একই সুরে সঙ্গীতশিল্পী তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, বাংলার সংস্কৃতিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

উল্লেখ্য, এই ঘোষণার আগে নন্দনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ বৈঠক। যেখানে টলিউডের প্রথম সারির শিল্পী, প্রযোজক ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেব, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নিসপাল সিং রানে-সহ প্রায় সব বড় নাম। আলোচনার মূল বিষয় ছিল— ‘নো শো শেয়ারিং’ নীতি বাতিল করা, যা এতদিন হিন্দি ছবিকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলা ছবির শো সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, প্রযোজক রানা সরকার বৈঠকের পর জানান, বহু বাংলা সিনেমা কলকাতার বাইরে ঠিকমতো মুক্তি পায় না, যার ফলে সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বড় বাজেটের হিন্দি ছবির কারণে অনেক প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির জায়গা কমে যাচ্ছিল। ‘ধূমকেতু’ মুক্তির কথা উঠলে এই সমস্যা স্পষ্ট হয়। তবে নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় ভবিষ্যতের ছবি এই সুবিধা পাবে, যা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক বাড়াতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুনঃ মৌ- প্লুটোর আশীর্বাদে কষ্ট চেপে রেখে নিজেই ছবি তুলে দিল মিঠি! হৃদয় ভেঙে গেলেও মৌয়ের ইচ্ছেয় আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে সামিল মিঠি! স্বতন্ত্র ও কমলিনীর সম্পর্ক নিয়ে আবারও শুরু নতুন গুঞ্জন!

শেষে বলাই যায়, বছরের পর বছর হিন্দি ছবির দাপটে বাংলা সিনেমা কোণঠাসা হয়েছে। এই নিয়ে টলিউডে বহুবার প্রতিবাদ উঠেছে। তবে এদিনের সিদ্ধান্তের পর শিল্পীরা আশাবাদী যে বাংলা ছবির দিন ফের ফিরবে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হওয়ায় শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রেক্ষাগৃহ মালিক—সবাই খুশি। টলিউডের আশা, এই নীতি কার্যকর হলে বাংলা ছবির দর্শকসংখ্যা ও ব্যবসা দুই-ই বাড়বে।