টেলিপাড়ার জুটি ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami) এবং ‘রাজা গোস্বামী’ (Raja Goswami) সম্প্রতি তাঁদের নতুন ব্যাগের ব্যবসা ‘রাজা মধুবনী কালেকশনস’ (Raja-Madhubani Collection’s) শুরু করেছেন, কিন্তু সেই শুরুটা হয়েছে এক অদ্ভুত কৌশলে। সমাজ মাধ্যমে মধুবনী একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তাঁর পেট খানিকটা স্ফীত, আর ক্যাপশনে লেখা ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। যা দেখে অনেকে ভেবে নেন তিনি দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন। মুহূর্তের মধ্যেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে ওঠে কমেন্ট বক্স, কিন্তু পরদিনই জানা যায়, সেটি আসলে একটি প্রচার কৌশল!
এটি নতুন ব্যবসার সূচনা বোঝাতে করা একটি পরিকল্পনা। এই কৌশলকে অনেকেই মাতৃত্বের মতো সংবেদনশীল বিষয়ের অযথা বাণিজ্যিক অপব্যবহার বলে কটাক্ষ করছেন। ‘রাজা মধুবনী কালেকশনস’এ মিলছে নানা ধরনের ব্যাগ, যা নিয়ে অভিনেত্রীর নিজের দাবি– “ব্র্যান্ডেড” এবং “ক্লাসি”। কিন্তু দাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের! একটা মাঝারি সাইজের, চোখে লাগার মতো ব্যাগের দাম ১৯৯৯ টাকা থেকে শুরু! ব্যাগের দাম দেখে অনেকে সরাসরি বলছেন, এগুলোর মান ফুটপাথ বা স্থানীয় বাজারে ২০০–৩০০ টাকার সমতুল্য।
অনেকেই লিখছেন, “পপুলার ব্র্যান্ডের নাম ছাড়া এত টাকা খরচ করব কেন?” এই সমালোচনায় থেমে থাকেনি বিতর্ক। কেউ কেউ জানিয়েছেন, অনুরূপ ডিজাইন ও গুণমানের ব্যাগ তাঁরা বাগরি মার্কেট, বড়বাজার বা সোদপুর মার্কেটে অতি সস্তায় পেয়েছেন। এমনকি একজন অভিযোগ করেছেন, একই ব্যাগ তিনি মাত্র ২৫০ টাকায় কিনেছেন, অথচ সেলিব্রিটি ট্যাগ লাগিয়ে সেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। এ নিয়ে মন্তব্য করায় অভিযোগ উঠেছে, রাজা গোস্বামী নিজ প্রোফাইল থেকে সেই ব্যক্তিকে ব্লক করে মন্তব্য মুছে দিয়েছেন, পরে কমেন্ট সেকশনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীর নিজের কথায়, “না মানে লাভ রাখারও তো একটা লিমিট থাকবে! এই একই ব্যাগ আমি সোদপুর মার্কেট থেকে ২৫০ টাকায় কিনেছি, একই ব্র্যান্ড এর আর। সেলিব্রিটি দিদি বলে ওনার কাছে ৬০০! ওনার পোস্টে কমেন্ট করলাম বলে ওনার স্বামী, মানে আমাদের সেলিব্রিটি দাদার প্রোফাইল থেকে আমায় ব্লক করে কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে! ধরা পড়ে যাওয়ার এত ভয় যে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছে। এসব কি মানা যায়? প্রচারের জন্য মাতৃত্বের মতো সংবেদনশীল বিষয় ব্যবহার করা এবং তার পরপরই পণ্যের মান ও দাম নিয়ে জনরোষ— দুটো মিলে উদ্যোগের ভাবমূর্তিই প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুনঃ “আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!
অনেকেই মনে করছেন, ব্যক্তিগত জীবনকে এমনভাবে প্রচার কৌশলে ব্যবহার করা এবং ক্রেতাদের অবাস্তব দামের মুখোমুখি করা একটি অস্বাস্থ্যকর মার্কেটিং। কেউ সরাসরি বলছেন, “ব্যবসা করতেই পারেন, কিন্তু ভোক্তাকে ঠকিয়ে নয়।” সবশেষে বলা যায়, ‘রাজা মধুবনী কালেকশনস’ যতটা সাড়া ফেলেছে, তার থেকে বেশি নেতিবাচক প্রভাবে জর্জরিত। দম্পতির নতুন উদ্যোগ নিয়ে কৌতূহল থাকলেও ব্যাগের মান ও মূল্যমান নিয়ে অসন্তোষই বেশি চোখে পড়ছে। ব্যবসায় সাফল্যের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছতা, সঠিক দাম এবং মান বজায় রাখা। যা নিয়ে এখনই ভাবনা-চিন্তা করা প্রয়োজন, নইলে ট্রেন্ডের বদলে ট্র্যাজিডি হিসেবেই থেকে যাবে এই উদ্যোগ।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!