‘কেউ আর ডাকে না, এখন তেমন কাজের অফার‌ই আসে না’, শারীরিক অসুস্থতাকে সঙ্গী করে তাই কি চিরতরে পর্দা ছাড়লেন অভিনেতা তমাল রায় চৌধুরী?

বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে যে কয়েকজন অভিনেতা অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম তমাল রায় চৌধুরী। একাধিক হিট ছবিতে তাঁর সাবলীল অভিনয় দর্শকের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বড়পর্দায় বা টেলিভিশনে তাঁকে আর দেখা যায় না। অনেকের মনে প্রশ্ন, তবে কি কাজের অভাবেই অভিনেতা হারিয়ে গেলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ?

টলিউডে বহু প্রতিভাবান শিল্পী রয়েছেন, যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলোর পর্দা থেকে হারিয়ে গেছেন। কাজের সুযোগ সীমিত হওয়া, নতুন মুখের আগমন, আর দর্শকের চাহিদার পরিবর্তন—এসবই এর জন্য দায়ী। তাই তমাল রায় চৌধুরীর অনুপস্থিতি নিয়েও অনেকে ভেবেছেন, তিনিও কি একই কারণে অভিনয় থেকে দূরে সরে গেছেন?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তমাল রায় চৌধুরী নিজেই। তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হয়—”হাতে কাজ নেই বলেই কি বাড়িতে বসে আছেন?” উত্তরে তিনি জানান, “ঠিক তেমনটা নয়। আসলে শরীর আর দিচ্ছিল না। বুকে পেসমেকার বসলো আর নিজেরই ভালো লাগছিল না।” এই কথায় স্পষ্ট, কাজের অভাব নয়, বরং শারীরিক সমস্যাই তাঁর অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

আরও পড়ুনঃ গর্ভেই শেষ হয়ে গেল উত্তম-সুপ্রিয়ার অমূল্য স্বপ্ন, জন্ম নিল না ‘ভ্রমর’! যে সন্তানকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন মহানায়ক, তাকে কখনও দেখতেই পেলেন না সুপ্রিয়া! অশ্রুজলে ভেসে গিয়েছিল কিংবদন্তির সম্পর্ক! কেন হল এমন পরিণতি?

তবে অভিনেতা এটাও স্বীকার করেছেন যে বর্তমানে তাঁর কাছে তেমন কাজের প্রস্তাব আসে না। যা আসে, তা অনেক দূরের শুটিং লোকেশনে, যেখানে যাওয়া তাঁর পক্ষে শারীরিকভাবে সম্ভব হয় না। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সেই প্রোজেক্টে তিনি যুক্ত হতে পারেন না। বয়সজনিত সমস্যা ও স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা তাঁকে ধীরে ধীরে আলাদা করে দিয়েছে অভিনয়ের মূল স্রোত থেকে।

যদিও এখন আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয় না, তবুও দর্শকের ভালোবাসা ও সম্মানই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি। দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্মৃতিই তাঁর সঙ্গী। হয়তো আবারও কোনও বিশেষ চরিত্র বা উপযুক্ত সুযোগ এলে তমাল রায় চৌধুরীকে বড়পর্দায় দেখা যাবে, কিন্তু আপাতত তিনি স্বাস্থ্যের যত্নেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।