স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্লুটো মিঠিকে ভুলে মৌকে জীবনসঙ্গী হিসেবে মানতে পারছে না। এদিকে মায়ের মুখের উপর কথা বলার সাহসও নেই প্লুটোর। এমন পরিস্থিতিতে সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আ’ত্মহ’ত্যার পথ বেছে নেয়, এবং একটি চিঠিতে তার কারণ লিখে রাখে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললে, বন্ধুরা বিয়ের জন্য তৈরি হতে প্লুটোকে ডাকতে আসে। কিন্তু বন্ধ দরজার ভেতর থেকে কোনও উত্তর মেলেনা। একপর্যায়ে প্লুটোর মা-বাবা এবং নতুন সেখানে উপস্থিত হয়। প্লুটোর বাবা সন্দেহ করেন, নিশ্চয়ই কোনও অঘটন ঘটেছে। কিন্তু প্লুটোর মা মানতে নারাজ, তিনি জানান প্লুটো ঘুমিয়ে পড়েছে ক্লান্ত হয়ে।
অনেক ডাকাডাকির পর উত্তর না মেলায়, নতুন দরজা ভেঙে প্লুটোকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। মুহূর্তেই বিয়ে বাড়ির সব লোক জড়ো হয় ওই ঘরে, প্লুটোর বাবার হাতে আসে সেই চিঠিটা। চিঠিটা পড়তেই তিনি ভেঙে পড়েন, নতুনও চিঠিটা পড়ে বুঝতে পারে যে কে দায়ী এর জন্য। উল্টোদিকে প্লুটোর মা এখনও মিঠিকে দোষারোপ করে যাচ্ছেন।
নতুন আর সহ্য করতে পারে না এবং তাকে জানিয়ে দেন, ছেলের এই পরিণতির জন্য তার মা-ই দায়ী! অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করলে অনেক সময় লাগছে দেখে, নতুন স্থানীয় একজন ডাক্তারকে ফোন করেন। তিনি এসে প্লুটোকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, প্লুটো আর বেঁচে নেই! মুহূর্তেই বিয়ে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুনঃ “দেব-রাজ শাসকদলের সাংসদ হয়েও ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়াচ্ছেন না কেন?” “সাউথে টিকিটের দাম বাঁধা, বাংলায় নির্দিষ্ট টিকিটের দাম কেন থাকবে না?”— টলিউডের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ শাশ্বতর! ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে সরকারের কার্যকর নীতি চাইছেন অভিনেতা!
অন্যদিকে মৌ কনের সাজে প্লুটোর জন্য অপেক্ষা করছে, আর বন্ধুদের বিদেশে গিয়ে সংসার পাতার গল্প শোনাচ্ছে। সন্ধ্যে হয়ে আসলে একে একে সব অতিথি বিয়ে বাড়িতে জড়ো হয়। কমলিনীরাও এসে পৌঁছয়, কিন্তু বরযাত্রীর দেখা নেই। কিছুক্ষণ পর কমলিনীর মেসোমশাইকে ফোন করে নতুন প্লুটোর মৃ’ত্যুর খবর দেন। এই খবর কানের যেতেই, মৌ মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।