বাংলা চলচ্চিত্র জগতে চমক নিয়ে হাজির হলেন রাজ চক্রবর্তী। জনপ্রিয় পরিচালক হিসেবে বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এ বার তাঁর আসন্ন কাজ ঘিরে দর্শক-সমাজে তৈরি হয়েছে বাড়তি কৌতূহল। শুধু একটি সিনেমাই নয়, বরং এক বাস্তব আন্দোলনের প্রতিধ্বনি বড়পর্দায় তুলতে চলেছেন রাজ। ২৫ অগস্ট থেকেই তিনি এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ২৭ অগস্ট আসছে এক বিশেষ ঘোষণা।
অবশেষে সেই দিন উপস্থিত হয়। ২৭ অগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায় প্রকাশ্যে আসে রাজ চক্রবর্তীর আগামী ছবির মোশন পোস্টার। পোস্টারে আগুনের পটভূমিতে প্রতিবাদী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবকের ছবি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। পোস্টারের উপরে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা— ‘হোক কলরব’। ক্যাপশনে রাজ লিখেছেন, “আসছি”। ঘোষণার পর থেকেই অনুরাগীরা ভরিয়ে তুলেছেন কমেন্ট বক্স।

মোশন পোস্টার প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যায় এই ছবিতে কারা অভিনয় করছেন। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ওম সাহানি, রোহন ভট্টাচার্য, জন ভট্টাচার্য এবং অভিকা মালাকারকে ট্যাগ করেছেন রাজ। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, একসঙ্গে জনপ্রিয় এবং তরুণ মুখদের নিয়ে বড় মাপের ছবি বানাতে চলেছেন পরিচালক। অনুরাগীদের মতে, এই নামগুলিই প্রমাণ করছে ছবির ভিত মজবুত হতে চলেছে।
প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিচালককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সহকর্মীরাও। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় রাজের পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “ছবির নাম যখন বাস্তবকে মনে করায়, তখন তো কলরব হবেই”। অন্যদিকে সাধারণ দর্শক লিখেছেন, “তুমি যদি না কর আর কেউ করবে না। প্লিজ ভালো স্ক্রিপ্ট নিয়ে এসো।” এই প্রতিক্রিয়াগুলোই প্রমাণ করছে, ছবির প্রতি প্রত্যাশার পারদ ইতিমধ্যেই উঁচুতে পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গণেশচতুর্থীর উচ্ছ্বাসের মাঝেই স্টুডিওতে হাম’লা তৃণা সাহার উপর! নায়িকাকে বি’পদ থেকে উদ্ধার করলেন কে?
তবে প্রশ্ন উঠছে কীসের কলরব? উত্তর মিলছে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে আসলে, ২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তের দাবিতে যে ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তারই নাম ছিল ‘হোক কলরব’। কয়েকদিন ধরে চলা সেই ছাত্র আন্দোলন রাজ্যের রাজনীতি ও সমাজজীবনে গভীর দাগ কেটেছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই ঘটনাকে অবলম্বন করেই নির্মিত হবে ছবির গল্প। অর্থাৎ, রাজ চক্রবর্তী বড়পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। দর্শকদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি হবে এক আবেগঘন ও বাস্তবনির্ভর সিনেমার অভিজ্ঞতা।






