“শাঁখা-সিঁদুর-সংসার আমি খুব ভালবাসি!” “সিঁদুরখেলা মানেই শক্তির উদযাপন, ওটা কি শুধু বিবাহিত মহিলারাই খেলতে পারেন?”— বিচ্ছেদের পর দুর্গাপুজোয় সিঁদুরখেলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সুস্মিতার! তবে কি সংসারে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তিনি?

বাংলা টেলিভিশনের একসময় নিয়মিত মুখ হলেও এখন অভিনয় থেকে খানিকটা দূরে সরে গিয়েছেন ‘সুস্মিতা রায়’ (Susmita Roy)। তবে আলোচনার কেন্দ্র থেকে কখনওই বাইরে যাননি তিনি। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সাজসজ্জা কিংবা বক্তব্য— সবসময়ই নেটপাড়ার নজরে থাকেন। বিশেষ করে বিচ্ছেদের পরেও প্রকাশ্যে সিঁদুর পরে থাকা নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছিল, তাতে একরকম জোরাল জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিঁদুর পরা একেবারেই স্বাভাবিক।

এই সিদ্ধান্ত যেমন একাংশের সমালোচনা কুড়িয়েছে, তেমনই আবার অনেকের সমর্থনও পেয়েছে। সম্প্রতি নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়েছেন সুস্মিতা। ‘ক্লিয়ারকাট’ নামক সংস্থার মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এর আগে ‘মেডোকার্ট’ নামক তাঁর ব্যবসায়ী উদ্যোগ যথেষ্ট সফলতা পেয়েছিল। তাই এবার আরও বড় স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনই নেটপাড়ায় বেশি আলোচনা কুড়োচ্ছে, বিশেষত সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে।

তবে বিতর্কের মাঝেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি সুস্মিতা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দেওয়া তাঁর কাছে খুব জরুরি। মুকুন্দপুরে নিজের বাড়ির কাছের প্যান্ডেলেই প্রতি বছর অঞ্জলি দেন। এ বছরও সেই নিয়ম মানার ইচ্ছে রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় সুখ। কাজের ফাঁকে কিছু কেনাকাটাও ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন তিনি, যদিও মায়ের সঙ্গে এখনও কিছু কেনাকাটা এখনও বাকি।

তবে সিঁদুর পরা এক রকম, আর দশমীতে সিঁদুর খেলা আরেক রকম। এবার কি তাহলে সিঁদুর খেলবেন তিনি? এই নিয়ে সুস্মিতা এমন একটি মন্তব্য করেছেন, সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে সেটাকে ঘিরেই। সুস্মিতার যুক্তি, সিঁদুর কেবল বিবাহিতদের জন্য নয়, বরং শক্তি আর নারীত্বের প্রতীক। তাই এই খেলায় অংশ নিতে কোনও সংকোচ নেই তাঁর। তিনি জানান, উত্তর কলকাতায় প্রতি বছরই সিঁদুরখেলায় যোগ দেন এবং এ বছরও সেই পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

আবার একই সঙ্গে তাঁকে সমর্থনও করেছেন অনেকে। সুস্মিতার কথায় স্পষ্ট, তিনি নিজের জীবনযাপন নিয়ে বাইরের চাপ মেনে নিতে নারাজ। বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে তিনি নিজের শর্তে বাঁচতে চান। সমাজের চোখ রাঙানি বা প্রশ্ন তাঁর সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারবে না। সিঁদুর, শাঁখা-পলা কিংবা সাংসারিক জীবনের চিহ্নগুলো তিনি ভালোবাসা আর শক্তির জায়গা থেকে দেখেন। তাই বিচ্ছেদের কারণে আজীবনের অভ্যাস তিনি পাল্টাবেন না! পর্দায় নতুন চরিত্রে দেখা না গেলেও, ভিন্নধর্মী চরিত্রে কাজ করতে চান সুস্মিতা। তবে আপাতত তাঁর ফোকাস ব্যবসা আর ব্যক্তিগত জীবনেই।

আরও পড়ুনঃ “আমি বিশ্বাস করি কোনও আন্দোলনই ব্যর্থ হয় না, ছোট হলেও প্রভাব থেকে যায়!” “নীরবেও আন্দোলন করা যায়, আমার না থাকাটাকেই সবাই বড় করে দেখছে!”— অভয়ার বর্ষপূর্তিতে অনুপস্থিতি নিয়ে কিঞ্জল! আরজি কর আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে কী বললেন তিনি?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।