নারীপা’চারকাণ্ডে পুলিশের হাতে চন্দ্র-সোহিনী গ্রেফতার, তবু সোহেলিয়াকে আশ্রয় দিল কমলিনী! চন্দ্র বেচে দিয়েছে বর্ষার সব গয়না! ছেলের কাণ্ডে স্তব্ধ চন্দ্রর মা! বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতে ভেঙে পড়ল বুবলাই-বর্ষা!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, চন্দ্র ও সোহিনীকে নারীপাচা’রের অভিযোগে মোঘালয়ের পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়। তবে গ্রেফতারের পরও তাঁদের মেয়ে সোহেলিয়াকে ফেলে দিতে রাজি হননি কমলিনী। কমলিনী সবাইকে বলে দেন, ওদের সন্তানের কোনও দোষ নেই, তাই তাকে অন্যায়ের ভার বইতে হবে না। এবার থেকে যতদিন না সে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, কমলিনী তার দায়িত্ব নেবে।

চন্দ্রর মা এতদিন ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলতেন যে কোনও পরিস্থিতিতে। একরকম পক্ষপাত আর অন্ধবিশ্বাসে ছিলেন। কিন্তু পুলিশের কথা শোনার পর বাস্তব সামনে এলে তিনিও চুপ করে যান। এতদিন যে ছেলের হয়ে সওয়াল করে গেছেন, সেই ছেলেই যখন এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে, তখন তাঁরও আর মুখ দেখানোর জায়গা নেই। কারণ চন্দ্রের মা নিজের রক্তমাংসের সন্তানকে নিয়ে এমন কাণ্ড কল্পনাও করতে পারেননি।

Star Jalsha Serial Chiroshokha 10 Sept Episode Update

এদিকে বাড়ির গয়না-টাকাপয়সার হদিস মেলায় নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়। চন্দ্র আর সোহিনীর স্যুটকেস ঘেঁটে উদ্ধার হয় একের পর এক হারানো গয়না। শুধু তাই নয়, টাকাও উদ্ধার হয়। এর আগেও বেশ কিছু গয়না বিক্রি করে দিয়েছিল চন্দ্র, তারই এত টাকা। এইসব তথ্য সামনে আসতেই পরিবারের ভরসার দেওয়াল একেবারে ভেঙে পড়ে। যে বুবলাই এতদিন মনে করত, চন্দ্র অন্যায় করতে পারে না। তাঁর ভুলও এবার পরিষ্কার হয়ে যায়।

সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছে বর্ষার। কমলিনীর, চন্দ্রের মায়ের গয়না পাওয়া গেলেও, বর্ষা আবিষ্কার করে তার নিজের গয়নাই নিখোঁজ! অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কিছু মেলে না। তবে সেই জায়গায় ব্যাগ থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। বর্ষা অনুমান করে যে, তার গয়না বিক্রি করে মোটা টাকা জোগাড় করেছিল চন্দ্র ও সোহিনী। আর সেই টাকা নিয়েই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেছিল।

আরও পড়ুনঃ “নিয়ম মানি না, ভগবানের ভোগ রান্না করার সময় নিজে আগে চেখে দেখি”, ‘সবাইকে এতো সংস্কারের পাঠ দেন আর নিজেই সংস্কার মানেন না?’, ‘এই বয়সেও ঝাল, নুনের আন্দাজ হয়নি?’ নেট পাড়ায় কটাক্ষ মমতা শঙ্করকে

এই বিশ্বাসঘাতকতার আঘাত বর্ষা একেবারেই মেনে নিতে পারে না। তাই রাগে ফেটে পড়ে বর্ষা সরাসরি বুবলাইকে বলে, “তোমার বাবা চোর।” স্বাভাবিকভাবেই অপমানের সেই তীর সরাসরি গিয়ে লাগে বুবলাইয়ের বুকে। অধরা মধুরীতে নতুন করে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। যদিও এতদিনে পুরোপুরি মুক্তি পেয়েছে কমলিনী, কিন্তু শাশুড়ি বা ছেলে আর বউয়ের দায়িত্ব এবার তাঁর ঘরেই এসে পড়তে চলেছে।