“শিল্পী হয়ে অন্যায় করেছি? এত জ্বালা তোর! আয়ে তুই…কিছু করতে পারিস নি, এত হিংসা!”— মাচায় অপ’মানিত খ’লনায়ক, দর্শকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের! অকথ্য গা’লিগা’লাজে ফেটে পড়লেন তিনি, উত্তপ্ত হল অনুষ্ঠানস্থল!

টলিউডের অন্দরে এখন এক নতুন হাওয়া বইছে। বাংলায় কাজের অভাব অভিনেতারা পা বাড়াচ্ছেন অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিতে। কেউ বা আবার যোগাযোগের অভাবে বিনা কাজেই দিন কাটাচ্ছেন যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও। তাঁদের মধ্যে অভিনেতা ‘সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়’ (Sumit Ganguly) একজন। একসময় বড়পর্দায় খলনায়কের চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভিলেনের চরিত্রে দর্শকের মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। যদিও টাইপকাস্ট হওয়া নিয়ে তাঁর অভিযোগ থেকেই গেছে ইন্ডাস্ট্রির কাছে।

খলনায়ক হিসেবেই যেন নিজেকে দেখতে দেখতে হাপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। অথচ অভিনয়ে তাঁর দুঃখের প্রভাব কোনদিনও পড়তে দেননি। মাঝে বাণিজ্যিক ছবির বাজারে মন্দা নামতেই কাজও কমে আসে সুমিতের হাতে। কিন্তু মেগাস্টার দেবের প্রযোজনায় খাদান ছবির মাধ্যমে আবারও আলোচনায় ফিরে আসেন তিনি। এর আগে বহুবার তিনি জানিয়েছিলেন যে, অভিনয়ে আসার সময় ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন। নায়িকাকে জড়িয়ে ধরে গানে নাচ করবেন। খলনায়ককে হারিয়ে জিতে নেবেন সবার মন।

কিন্তু তার শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে হিরোর তকমাটা ঠিক যায় না বলে, অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী তাঁকে নিজের ছবি ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’তে প্রথম খলচরিত্রে সুযোগ দেন। তারপর সেই ছবির সাফল্য কারোর অজানা নয়। এরপর আর সুমিতকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবির প্রধান ভিলেন তিনিই তখন। সম্প্রতি একটা দু’টো বড়পর্দার কাজ পেলেও তিনি সেভাবে আগের মতো দাপট দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে অন্যান্য শিল্পীদের মতো গ্রামে-গঞ্জে মাচা শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

এদিন এমনই এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে নিজের অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক তখনই দর্শকদের মধ্যে থেকে একজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন অভিনেতাকে। অনেকক্ষণ সহ্য করার পর তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। অভিনেতা একপ্রকার রেগে গিয়েই পাল্টা কটাক্ষ করেন দর্শকেই, “শিল্পী হয়েছি বলে দুটো পয়সা নিয়ে এই মঞ্চে এসেছি। এটার জন্যই আজও সংসার চলে আমার। খাই-দাই এই টাকা দিয়েই, আমাদের কোনো মাস মাইনে নেই। প্রফিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচিউরিটি, মেডিকেল বা পেনশন নেই।

আরও পড়ুনঃ টাকার সত্যি ফাঁস হতেই ধরা পড়ল বর্ষার চালাকি, বুবলাইয়ের মুখে অপমান শুনে ক্ষিপ্ত সে! এতদিনে দ্বন্দ্বের শেষে, অপমানিত কমলিনীর কাছে মাথা নত করলেন শাশুড়ি! কান্নায় ভেজা কণ্ঠে হাত জোড় করে চাইলেন ক্ষমা!

একটা সময়ে যখন আর কেউ ডাকবে না, বাড়িতে পরে থাকব। কেউ খুঁজেও দেখবে না, তখন এই টাকাটা দিয়েই ডাক্তার দেখাবো। অনর্গল খি’স্তি করে যাচ্ছেন আমাকে!” এরপরেও ওই ব্যক্তি চুপ না করলে, তিনি আর নিজের মুখের ভাষা সংযত রাখতে পারেন না। বলে বসেন, “কেন, শিল্পী হয়ে কি অন্যায় করেছি? এত জ্বালা তোর! আয়ে তোকে হিরো বানাই, শিল্পী হওয়ার সুযোগ দেই। নিজে কিছু করতে পারিস নি বলে এত হিংসা!” এমন ঘটনায় কেউ অভিনেতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আবার কেউ বলেছেন, খলচরিত্রে অভিনয় করলে অপমানটাই প্রশংসার সমান। কাজেই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।