স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী বর্ষার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করে টাকাগুলো দেখানোর জন্য। এটাও বলে কমলিনী যে টাকার নম্বর যদি না মেলে তাহলে ক্ষমাও চাইবে তাঁর কাছে। কিন্তু বর্ষা তো মনে মনে জানে যে, টাকাটা কমলিনীর। একবার যদি টাকার নম্বর মিলে যায়, তাহলে হাতছাড়া হয়ে যাবে অতগুলো টাকা।
এই কারণেই বর্ষা আবার নিজের গয়না চুরির প্রসঙ্গ তুলে বলে, যে পরিমাণ গয়না চুরি গেছে তাই নিয়ে বাড়ির কেউ কিছু বলছে না। এদিকে কমলিনীর টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কুর্চি বলে বর্ষাকে, যদি কমলিনীর টাকাও না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই পুলিশের কাছে যাবে তারা। বর্ষাও নিজের গয়নার জন্য যেতেই পারে পুলিশের কাছে।
বর্ষা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে ওই টাকা দেখাবে না। মিঠি পুলিশের হুমকি দিলে, বর্ষা মিঠির দিকে আঙ্গুল তুলে বলে সেও চুরি করতে পারে টাকা। মিঠিও বলে এই মুহুর্তেই যেন তার সমস্ত কিছু তল্লাশি করে দেখা হয়, সন্দেহ তালিকা থেকে কাউকেই বাদ দেওয়া উচিত না। কুর্চিও বুবলাইকে তার বউ বর্ষাকে নিয়ে অনেক কথা শোনাতে থাকে। শেষে অতিষ্ঠ হয়ে বুবলাই বর্ষার বাধা নিষেধ উড়িয়ে টাকাটা নিয়ে আসে।
টাকাটা নিয়ে আসলে, বর্ষা বুবলাইকে আবার হুমকি দেয় যে টাকাটা ওদের দিলে বাপের বাড়ি চলে যাবে সে। কিন্তু বুবলাই বউ কে এতটাই অন্ধ বিশ্বাস করে যে, সৎ প্রমাণ করতে টাকাটা দেখায় কমলিনীদের। স্বাভাবিকভাবে টাকার নম্বর মিলে যায়, বর্ষা তখন বলে তার টাকা হাতানোর জন্যই কমলিনী নাটক করেছে। এই প্রথমবার বুবলাই মায়ের হয়ে কথা বলে বউয়ের বিপরীতে গিয়ে।
বুবলাই বলে, টাকা নম্বর যখন মিলেছে বর্ষা কোনভাবেই নিজের বলে দাবি করতে পারে না সেই টাকাকে। মিঠিকে টাকাগুলো ছুঁড়ে দেয় বুবলাই। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, বুবলাই কমলিনীদের মনের মানুষ বলে। কমলিনীর মাসি শাশুড়ি প্রতিবাদ করে বলেন, যে এত কিছু হওয়ার পরও, শাশুড়ির গয়নার জন্য টাকা তুলে রাখে তার থেকে ছোট আর কেই বা হতে পারে।
এই কথা কমলিনীর শাশুড়ির মনকে আঘাত করে। পরমুহূর্তেই তিনি বৌমার কাছে হাত জোড় করে শেষ বয়সের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন। ক্ষমা চান নিজের অন্যায়ের জন্য। কমলিনীও বলে, অনেক কাল আগে বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে এসেছে। তবে থেকে খারাপ ভালো সবকিছুতেই শাশুড়িকে মা হিসেবে দেখেছে। তার দায়িত্ব নিতে কোনও আপত্তি নেই কমলিনীর।
এদিকে কুর্চি বুবলাইয়ের চোখ খোলার জন্য বলে, বর্ষার যদি গয়না চুরি যেতো তাহলে এত কম টাকা নিয়ে শান্ত থাকতে পারতো না। সবার আগে থানা-পুলিশ সে-ই করতো। বুবলাই বউকে কথা দেয়, চাকরি পেয়ে সব গয়না আবার গড়িয়ে দেবে। এদিকে নতুন বিদেশ চলে যাচ্ছে, সেই নিয়ে কমলিনীর মন খারাপ। নতুন অনেকভাবে পরিস্থিতিকে হালকা করার চেষ্টা করলেও, কমলিনী ভেঙে পড়েছেন ভেতর থেকে।
আরও পড়ুনঃ “মা’লটাকে গাড়িতে তোল…” সংলাপে আজও বাঙালির মনে তাজা! নায়ক নয়, খ’লনায়ক হয়েই দর্শকের হৃদয়ে অমর সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়! মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ইতি, হতে চাননি অভিনেতা— জানেন তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়ের কথা?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।