শেষ আশ্রয় স্বতন্ত্রকে হারিয়ে কমলিনী ডুবল একাকিত্বে! বিদায় মেনে নিতে পারছে না কেউ, তবুও স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তে অনড়! বাবিলের ভরসার মানুষ চলে যাচ্ছে, মিটিলের সম্পর্ক ভাঙার কথায় হতবাক সবাই!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, স্বতন্ত্র কলকাতা ছেড়ে চলে যাবে বলে সবার মনে যেন এক অদ্ভুত শূন্যতা নেমে এসেছে। বাড়ির প্রতিটি কোণে হতাশা আর অস্বস্তির ছায়া। বিশেষ করে কমলিনী যেন এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বছরের পর বছর যে মানুষটিকে একটা পরিবার শেষ ভরসা মনে করেছিল, তার চলে যাওয়াই যেন তাদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে।

কুর্চি চেষ্টা করছে পাশে দাঁড়াতে। এমনকি স্বতন্ত্রের পছন্দের মিষ্টি কিনে এনে তার মন ভালো রাখার চেষ্টাও করছে, কিন্তু বাস্তবের কঠিন সত্য থেকে পালানো যাচ্ছে না। কমলিনীর অস্থিরতা আরও বেড়েই চলেছে। স্বতন্ত্র যতই বোঝাতে চাইছে যে শহর ছেড়ে চলে যাওয়াই পরিবারের ভালোর জন্য প্রয়োজনীয়, তবুও সে কোনওভাবে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছে না।

Star Jalsha Serial Chiroshokha 13 Sept Episode Update

কুর্চি জলখাবার বানিয়ে আনলেও কমলিনী কিছুতেই খেতে চায় না। মনে মনে স্বতন্ত্রের বিদায়ের মুহূর্ত এড়িয়ে যেতে চাইছে সে। এমনকি পরদিন এয়ারপোর্টে শেষবার বিদায় জানাতেও যেতে অস্বস্তি বোধ করছে। বিদায় শব্দটাকেই যেন সহ্য করতে পারছে না কমলিনী। অন্যদিকে বাবিল এবং মিটিলও সেই সময় এসে দেখা করে স্বতন্ত্রের সঙ্গে। বাবিল ছোট থেকে তাকে বাবার মতো ভেবেছে, স্নেহ আর সম্মানের চোখেই দেখেছে।

স্বতন্ত্র চলে যাবে ভাবতেই সেও অসহায় বোধ করছে। বাবিলের জীবনে স্বতন্ত্র শুধু অভিভাবক নয়, একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গীও। কিন্তু এই সবকিছুর মাঝেও মিঠির অনুপস্থিত সকলকে ভাবাচ্ছে। সে স্বতন্ত্রকে একবারের জন্যও আটকানোর চেষ্টা করে না। যদিও তার মনে অনুশোচনা কাজ করছে, তবুও মুখে সে সিদ্ধান্তকে বদলানোর কথা উচ্চারণ করে না। মিটিল হঠাৎ জানায় বাবিলকে আর বিয়ে করতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃসাত বছর পর ছোটপর্দায়, আর কয়েক মাস পর বিয়ে! প্রথম সংসার ভেঙে গেলেও এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন মধুমিতা! দেবমাল্যের সঙ্গে কবে বসবেন পিঁড়িতে, কী জানালেন অভিনেত্রী? কেমন চলছে সব প্রস্তুতি?

তার মতে, স্বতন্ত্র না থাকলে সেই সম্পর্কের কোনও ভিত্তি থাকছে না। এই কথা সবাইকে অবাক করে দেয়। কিন্তু মিটিলের কথা অনুযায়ী, আসলে বাবিলের সঙ্গে সম্পর্কটা এগোতে পেরেছিল একমাত্র স্বতন্ত্রর উপস্থিতি আর সমর্থনের জন্য। সেই অবলম্বন যদি না থাকে, তাহলে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার মানেই থাকবে না বলে মনে করছে মিটিল। এদিকে কমলিনীর চোখের জলও শুকাতে চাইছে না।