টলিপাড়ার আলোচিত জুটি কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) আর শ্রীময়ী চট্টরাজকে (Sreemoyee Chattoraj) ঘিরে ট্রোল, কটাক্ষ, বিতর্ক আজ আর নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নেটপাড়ায় সমালোচনার ঝড় ছুটে আসে। দু’জনের সম্পর্কে বয়সের ফারাক হোক কিংবা বিয়ের আগের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকে আজও তাঁদের মুক্তি মেলেনি। তবে এতদিন যা নিয়ে তাঁরা নীরব থেকেছেন, এবার সেই নীরবতা ভাঙলেন শ্রীময়ী নিজেই!
প্রসঙ্গত, এই জুটি আগেও অসংখ্যবার বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে শুধুমাত্র তাঁদের কিছু মন্তব্য বা ছবিকে কেন্দ্র করে। তবুও রেগে না গিয়ে, প্রতিবার নিজেদের মতো করেই উত্তর দিয়েছেন তাঁরা। তবে এবার শ্রীময়ী আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন, আর সতর্ক করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এত সহজে দম্পতিকে আক্রমণ করা যাবে না। দরকারের মামলার মুখে পড়তে হতে পারে কটুক্তিকারীদের! কী এমন ঘটেছে, যার জন্য এই প্রতিক্রিয়া?
সম্প্রতি কাঞ্চনপত্নীর এক সমাজ মাধ্যম পোস্টের কমেন্ট বক্সে অকথ্য অশ্লী’ল ভাষায় কাঞ্চনের জন্ম পরিচয় নিয়ে কটুক্তি করা হয়। সাধারণত এমন নেতিবাচক মন্তব্যকে পাত্তা দেন না শ্রীময়ী, কিন্তু এবার যেন সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা। তাই সরাসরি পালটা জবাব দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রোফাইলের লিঙ্ক প্রকাশ্যে এনে লালবাজার সাইবার ক্রাইম শাখাকে ট্যাগ করে অভিযোগ জানিয়েছেন শ্রীময়ী।
তারই সঙ্গে শ্রীময়ীর স্পষ্ট করে বলেছেন, সবসময় তিনি সমালোচনাকে এড়িয়ে যেতে চান, এমনকি মজার ছলে করা কটাক্ষ নিয়েও হাসিঠাট্টা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় অশ্লী’লতা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে আর চুপ থাকা যায়নি। তিনি কটুক্তিকারীর পেশা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ওই জৈনিক মহিলা নিজেকে রূপটান শিল্পী দাবি করলেও, শ্রীময়ীর মতে যাঁর মানসিকতা এত নোংরা, তিনি অন্যকে সুন্দর করে তুলবেন কীভাবে?
আরও পড়ুনঃ ‘মা সবসময় চাইত আমি যেন……আমি তখন সেটা বুঝিনি’— জীবনের সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আজও ভুগছেন সব্যসাচী চৌধুরী! কি এমন ঘটেছিল অভিনেতার জীবনে?
এমনকি কাঞ্চনপত্নী তাঁরও জন্ম এবং বংশপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন! এই ঘটনার পর থেকেই শ্রীময়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, এমন সময় প্রকাশ্যে এগিয়ে আসাটাই সাহসের পরিচয়। তাঁদের মতে, নেটপাড়ার নোংরা মানসিকতার মানুষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে জরুরি। কারণ, এই কটুক্তিকারীদের চুপ করানো না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।