“নুসরতের সঙ্গে চার-পাঁচটা ছবি করেছি, ওর সঙ্গে এখন বন্ধুত্বের বাঁধন নেই!” “আমরা সবাই মানুষ, অনুভূতি আছে, ক্যামেরার বাইরে অস্বস্তি হলে মুশকিল!”— নুসরতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অঙ্কুশ!

শুধু পরিস্থিতির চাপ না, সময়ও অনেক সম্পর্কের রসায়ন বদলে দেয়। একসময় যাঁরা ছিলেন একে অপরের ছায়াসঙ্গী, আজ তাঁরা শুধুই সহকর্মী বা পরিচিতির তালিকায় সেই অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তি। এমন অনেক সম্পর্কই যেমন বাস্তবে দেখা যায়, ঠিক তেমনই বিনোদন জগতেও খুবই সাধারণ। আর তেমনই এক সম্পর্কই ভাঙনের গুঞ্জন যেন বয়ে এনেছে ‘রক্তবীজ ২’-এর (Raktabeej 2) প্রি-রিলিজ পার্টি। এখানে এক ফ্রেমে ধরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা। ছিলেন না নুসরত জাহান একসময়ের বন্ধু, আজ হয়তো একটু দূরের মানুষ।

পার্টিতে সবার মেজাজ ছিল একেবারে ফুরফুরে।মিমি-অঙ্কুশকে নাচতেও দেখা গেল সাবলীলভাবে, কিন্তু পারিপার্শ্বিক আবহেই যেন কোথাও চাপা পড়ে রইল নুসরতকে ঘিরে সেই সম্পর্কের জটিলতা। প্রসঙ্গত, একসময় মিমি আর নুসরতের বন্ধুত্ব ছিল উদাহরণ দেওয়ার মতো। এমনকি তাঁরা একে অপরকে ডাকতেন ‘বোনুয়া’ বলে, আনন্দে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু এখন, সেই সম্পর্ক অতীত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূরত্ব এসে গিয়েছে, এবং সেটাই হয়তো খুব স্বাভাবিক।

সব বন্ধুত্ব যে আজীবন টিকে থাকে না, তা বললেন স্বয়ং অঙ্কুশ নিজেও! নুসরতের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও, তিনি স্পষ্ট করে জানালেন- এখন আর সেই ঘনিষ্ঠতা নেই। তবে কোনও তিক্ততাও প্রকাশ করলেন না। বরং বললেন, “সব মানুষের সঙ্গেই তো চিরদিন একই রকম সম্পর্ক থাকে না, সেটাই বাস্তব!” অন্যদিকে, মিমি-অঙ্কুশের বন্ধুত্ব আজও আগের মতোই মজবুত। সিনেমার বাইরে, ব্যক্তিগত জীবনেও তাঁরা একে অপরের প্রতি আন্তরিক। এই পার্টিতে তা স্পষ্ট দেখা গেল।

অঙ্কুশ যেমন বললেন, “ক্যামেরার পেছনে যদি কারও সঙ্গে অস্বস্তি থাকে, তাহলে সেটার প্রভাব শুটিংয়েও পড়তে পারে। কিন্তু তিনি নিজে এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়েননি। বরং, যাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কাজ করাটা আরও সহজ আর প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।” উল্লেখ্য, ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস’ গানে পর্দায় আগুন ছড়িয়েছেন নুসরত। এই গান বাজতেই পার্টিতে উপস্থিত মিমি আর অঙ্কুশ নেচে উঠলেন। কিন্তু নুসরতের সঙ্গে আদৌ কোনও আলাপ হল কি না, তা ঘিরে রয়ে গেল একরাশ প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ পুজোর উপহার-শাড়ি-কাগজপত্র সব জলে! খারাপ হয়ে গেছে গাড়ি! প্রবল ক্ষতির মুখে অভিনেত্রী দোলন রায়, কেন এই বেহাল দশা শহরের? প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী

হয়তো কেউ চাইল না পুরনো প্রসঙ্গ তুলতে, কিংবা কারও ইচ্ছেই ছিল না সেই দিকটায় আর পা বাড়ানোর। সব মিলিয়ে, ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্কগুলোর মধ্যে এক ধরনের বাস্তবতা আজও স্পষ্ট। আলো, ক্যামেরা আর অ্যাকশনের বাইরে জীবনের ছায়াগুলিও হাঁটে পাশে পাশে। সব কিছুই প্রকাশ পায় না, কিন্তু সময় তার নিজের মতো করে গল্প লেখে। কখনও বন্ধুত্ব থাকে, কখনও হারিয়ে যায়- আর ঠিক সেটার ছাপই পাওয়া গেল ‘রক্তবীজ ২’-এর পার্টির এই ঘটনায়।