এইবার দুর্গাপুজো চরম আক্ষেপে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী ‘কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Koneenica Banerjee)। মাকে দেওয়া কথা রাখতে পারেননি তিনি! তাই আজ হৃদয়ের সেই ফাঁকা জায়গাটা যেন বেশি করে অনুভব হচ্ছে তাঁর, এই উৎসবের মরশুমে। মকে মুখে কথা না দিলেও অভিনেত্রী নিজের মনেই অঙ্গীকার করেছিলেন, যতদিন সম্ভব সেই কথা তিনি রাখবেন। মা হয়তো জানতেন, আবার নাও জানতে পারেন। তবে, মায়ের মৃ’ত্যুর পর সেই কথা না রাখতে পারার মেয়ে ভেঙে পড়েছেন!
নিজের মুখেই জানিয়েছেন সেই আক্ষেপের কথা। প্রতি বছর পুজোর সময় মাকে লাল পাড় সাদা শাড়ি দেওয়া ছিল, অভিনেত্রীর কাছে একটা নিয়মের মতো। যবে থেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, এটাই প্রথার হিসেবে পালন করে যাচ্ছেন, কিন্তু গতবারের পুজোর আগে মা নিজেই আর শাড়ি নিতে চাননি। তারপর থেকে মাকে শাড়ি দেওয়ার সেই সুযোগও আসেনি, এটাই কনীনিকার জীবনের এক গভীর আক্ষেপের জায়গা।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কনীনিকার মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর মায়ের মৃ’ত্যুর মেয়ের সামলে উঠছে অনেকটা সময়ই লেগেছিল। সামজ মাধ্যমে তিনি তাঁর মাকে হারানোর দুঃখও ভাগাভাগি করেছিলেন সেই সময়। আর মা চলে যাওয়ার মাস খানেক পরই হয়েছে মা দুর্গার আগমন। চারদিকে উৎসবের আলো আর ঢাকের বাদ্যি, সবকিছু যেন মায়ের অভাব করেছে তীব্রতর।
মা থাকাকালীন প্রতিবার পুজোর সময় কাটানো মুহূর্তগুলো তাঁর মনে পড়ে খুব। এবার আর সে আনন্দ নেই, একদম ম্লান লাগছিল কনীনিকার। তিনি জানিয়েছেন, এবার পঞ্চমীতেই পুজো পরিক্রমা শেষ করেছেন, কারণ শহরের বাতাবরণে মা ছাড়া মনটা আর ভালো লাগছিল না তাঁর। বিশেষ করে পুজোর নবমীতে মায়ের হাতের নানা রকম সুস্বাদু খাবার ছিল না এইবার।
আরও পড়ুনঃ “আমার কণ্ঠস্বর তো আমার আত্মা, সেটাকেও চুরি করে নিচ্ছে!”— এআই প্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার আশা ভোঁসলে! বিনা অনুমতিতে কণ্ঠস্বর এবং ছবি ব্যবহারের অভিযোগে আইনি পথে হাঁটলেন কিংবদন্তি গায়িকা!
ছোটবেলা থেকে মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখার সেই অনুভূতি এখনও জীবন্ত, কিন্তু এবার সেটাও হয়নি। আজ উৎসবের মাঝেও কনীনিকার মন ভারাক্রান্ত, কিন্তু মায়ের স্মৃতি হয়তো জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি জোগাচ্ছে। আজ যখন অনেকেই বৃদ্ধা মকে রাস্তায় ফেলে দেন, ক’জন ভাবেন কনীনিকার মতো করে? কেই বা আক্ষেপ করেন, মকে দেওয়া শেষ কথা না রাখতে পারার?