টলিউড অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তের (Debolina Dutta) ব্যক্তিগত জীবন গত কয়েক বছরে নানা আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে। ২০১২ সালে পরিচালক-অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়ের (Tathagata Mukherjee) সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘ নয় বছরের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায়। ২০২১ সালের শেষের দিকে তাদের বিচ্ছেদ সংবাদ শিরোনামে আসে, যেখানে সম্পর্কের দূরত্ব এবং তথাগতর নতুন সম্পর্কের গুঞ্জন সামনে আসে। যদিও তখন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের নামও আলোচনায় আসতে দেখা যায়, সেই অধ্যায় এখন অতীত।
তথাগত চলতি বছরই তার সম্পর্ক ঘোষণা করেছেন, তাঁর বয়সের অর্ধেক আলোকবর্ষার সঙ্গে। অন্যদিকে, দেবলীনা এখন অতীত ভুলে নিজেও জীবনে নতুন প্রেমের আশায় আছেন। তবে, দু’জনের মধ্যে এখনও আনুষ্ঠানিক বা আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। এদিন এক সাক্ষাৎকারে দেবলীনাকে বলতে শোনা গেল, “তথাগত আমার পরিবারের অংশ ছিল, আজও সেটাই মনে করি। তাই আলোকবর্ষা যদি তাকে সুখী রাখে, আমার তো ভালো লাগবেই! আসলে ডিভোর্সের ব্যবস্থাকে আমরা ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ করে নিয়েছি।

এটা তো আছেই, তাহলে পরিবার কেন বলছি? কোনও পক্ষই মানিয়ে নিয়ে রাজি নয় একটু, কিছু বললেই বলবে ‘আমাদের এডজাস্টমেন্ট হচ্ছে না’! এই এডজাস্টমেন্ট কথাটাকে এত সহজে ব্যবহার করে দেওয়া হয় যে কিছু বলার নেই। ধরা যাক, কারোর বাবার সঙ্গে তার অনেক বড় ঝামেলা হয়েছে। এমন অশান্তি হয়েছে যে সেটা মাস খানেক পেরিয়ে বছরে গড়িয়েছে, মতের মিল কিছুতেই হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কি কোনও সন্তান বাবাকে ডিভোর্স করতে পারবে? এই অপশনটাই তো নেই! আমাদের আইন এখনও এতটাও নিচে নামেনি।
কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে এটা এতটা সহজ রাস্তা কেন? তারাও একটা পরিবার, তাহলে কিছু হলেই ‘ডিভোর্স আছে’ এটা মাথায় আসবে কেন? ডিভোর্স করে অন্য সম্পর্কে জড়ালে সেখানে এডজাস্টমেন্টটা হবে তো?” অভিনেত্রীর এই কথায় যতই যুক্তি থাক, তবুও বিতর্কিত অতীতের কারণেই এমন মন্তব্যে ফ্যাসাদে পড়েছেন তিনি। সমাজ মাধ্যমে সমালোচনা করে অনেকেই বলছেন, “কথা ঠিক আছে কিন্তু যে বলছে সে নিজেই যখন ডিভোর্সড পুরুষ বিয়ে করেছিল তখন সমালোচনা তো হবেই!” কেউ বলেছেন, “ম্যাডাম, উত্তরটা আপনি নিজেই দিয়ে দিয়েছেন।

যদি আইনে থাকতো, তাহলে সবাই সেটা করত, কারণ বাবা মেয়ের সম্পর্ক যদি চূড়ান্ত তিক্ততায় পরিণত হয়, তাহলে এক সাথে থাকার প্রয়োজন আছে কি? সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জন্যে বাবা-মাকে ছেড়ে সন্তানের আলাদা আছে নজির কিন্তু নেহাত কম নেই। তবে বাবা মা এর সাথে ডিভোর্সের সুযোগ থাকলেও আমরা হয়ত সবাই সেটাকে গ্রহণ করব না, কারণ এই সম্পর্ক আত্মার সম্পর্ক। আমরা এখন আর কেউ বাল্য বিবাহ করি না, নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে করি। এবার বলুন একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ তার স্বামী/স্ত্রী এর সাথে মতের অমিল সত্ত্বেও কেন সারা জীবন মেনে নিয়ে কেন থাকবে?”
আরও পড়ুনঃ “সততা সবকিছুর ঊর্ধ্বে…নিজের আদর্শেই চলি, কে জীবনে থাকল কে ছেড়ে গেল তাতে কিছু যায় আসে না!”— একটাই গাঙ্গুলীকে ভালোবাসি, দেবের তির্যক মন্তব্যের পাল্টা দিলেন শুভশ্রী?
অন্যজন বলেছেন, “বাবার সাথে রক্তের সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর তো তা নয়। বিয়ে ব্যাপারটা বেশ কিছুটা শর্তাধীন। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে, ডিভোর্স করে জীবন নতুন করে সাজিয়ে নিলে ক্ষতি কি? সবাই চেষ্টা করে একটা সময় পর্যন্ত বিয়েটা বজায় রাখার। আসলে দেবলীনা নিজেকে মুক্তি দিতে পারছেনা।” অন্যজন কটাক্ষ করেছেন, “যখন কন্যাকুমারীকে ছেড়ে তথাগত তোমাকে বিয়ে করেছিলো তখন এসব ভাবনা কোথায় ছিলো? এখন জালা বুঝতে পারছো, যখন তথাগত তোমাকে ছেড়ে অন্য কোথাও গেছে। এখন আদর্শের কথা মুখে!”






