পাশে দাঁড়িয়ে মা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়! ছেলের ১৮ বছরের উদযাপনে শ্যাম্পেন খাওয়ালেন বাবা প্রবাল! ‘এটাই বর্তমান সমাজের উদযাপন?’ ভিডিও দেখে তীব্র কটাক্ষ নেটিজেনদের

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের সবকিছুই ঘিরে তাঁর একমাত্র ছেলে প্রণীলকে। ছেলের জন্যই বহু ঝড়ঝাপটা পেরিয়েও স্বামী প্রবালের সঙ্গে সম্পর্কটা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। মনোমালিন্য ভুলে এখন অনেকটাই কাছাকাছি এসেছেন রচনা ও প্রবাল। প্রবালের জন্মদিনে রচনাও হাজির ছিলেন ছেলে প্রণীলকে নিয়ে। কিন্তু সেই পার্টির একটি ভিডিয়ো এখন ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জানা গিয়েছে, প্রবালের জন্মদিনের কেক কাটার পর বন্ধুরা জোরাজুরি করায় তিনি খুললেন শ্যাম্পেনের বোতল। আর সেই মুহূর্তেই সকলকে অবাক করে দিয়ে নিজের হাতে ১৮ বছরের ছেলের মুখে শ্যাম্পেন তুলে দিলেন তিনি। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যেই ছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনাও। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভ্রূ কুঁচকেছেন—এমন বয়সে ছেলেকে মদ্যপান শেখানো কতটা ঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।

রচনার প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে এই ভিডিও নিয়ে। অনেকে বলছেন, রচনা সবসময় ছেলেকে শাসনে রাখেন, অথচ তাঁর সামনেই এমন ঘটনা! কেউ আবার বলছেন, ১৮ বছর বয়সে শ্যাম্পেন খাওয়া তেমন অপরাধ নয়। মতবিরোধে ভরে উঠেছে মন্তব্য বিভাগ।

rachana and her husband

সেই দিন রচনাকে দেখা গিয়েছিল সিলভার রঙা পোশাকে, কানে লম্বা দুল, চোখে স্টাইলিশ চশমা। হাসিমুখে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে কেক কাটার মুহূর্তে ক্যামেরায় ধরা পড়েন অভিনেত্রী। একেবারে এভারগ্রিন লুকেই নজর কেড়েছেন তিনি। তবে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই দর্শকদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ “ডিভোর্সটা ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’, কেউ এডজাস্টমেন্ট করছে না…বাবা-মায়ের সঙ্গে না হলেও কি তাই করি?”— অকপট দেবলীনা! ‘স্বামী তোমাকে ছেড়েছে, জ্বা’লাটা বুঝে এখন আদর্শের কথা!’ ‘যখন কন্যাকুমারীকে ছেড়ে তথাগত তোমায় বিয়ে করেছিল, তখন এসব ভাবনা কোথায় ছিল?’– কটা’ক্ষবিদ্ধ অভিনেত্রী!

প্রবাল পল, রচনার স্বামী, লেডিবাগ টেলস নামে একটি সংস্থার কর্তা। একসময় সাহারা ইন্ডিয়ার পূর্ব ভারতের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিদেশি এক ব্যাঙ্কেও কাজ করেছেন এবং ফিটনেস ফ্রিক হিসেবেও পরিচিত। অন্যদিকে, রচনাও সম্প্রতি এক পডকাস্টে বলেন, “আমি চাই আমার ছেলে দেখুক বাবা-মা বন্ধু হয়েও থাকতে পারে।” সেই বন্ধুত্বের উদাহরণ হয়তো এই ভিডিওই—তবে সেটাই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে।