সমাজ মাধ্যম জুড়ে এখন এক নামই ঘুরছে— অভিনেতা ‘ঋজু বিশ্বাস’ (Riju Biswas)। তাঁর পাঠানো একাধিক মেসেজ ঘিরে চর্চার শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। কেউ বলছেন, তিনি সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আবার কেউ দাবি করছেন, বিষয়টিকে অকারণে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। টলিপাড়ার অন্দরে এই মুহূর্তে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক! কেউ ঋজুকে কটাক্ষ করছেন, কেউ আবার সহানুভূতি দেখাচ্ছেন তাঁর প্রতি। এদিন নিজেকে ‘ভুল বোঝা মানুষ’ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে লাইভ ভিডিওতে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা! ঠিক কী বললেন তিনি?
উল্লেখ্য, স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ ছিল তাঁর পর্দায় প্রথম কাজ, পরবর্তীতে ‘তোমায় আমায় মিলে’-তেও দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু পর্দার সাফল্যের বাইরে এই মুহূর্তে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে একেবারেই অন্য কারণে। দিন পাঁচেক আগে, মডেল বৃষ্টি মণ্ডল সমাজ মাধ্যমে বেশ কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আনেন। যেখানে দেখা যায়, ঋজু তাঁকে নানা মেসেজ পাঠিয়েছেন। এরপর অনেকেই একই ছবি প্রকাশ করেন। কারও শাড়ির প্রশংসা, কারও কাছে নম্বর চাওয়া, আবার কারও সঙ্গে ভিডিও কলের অনুরোধ।
এরপর থেকেই একের পর এক অভিযোগ জমতে থাকে অভিনেতার বিরুদ্ধে। তবে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে ঋজু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য কখনও খারাপ ছিল না। তাঁর বক্তব্য, “শাড়িতে সুন্দর লাগছে বলা কি খারাপ? আমার মাকেও বলি শাড়িতে সুন্দর লাগছে, তার মানে কি মেয়েবাজ আমি?” তিনি অভিনেতা বলেই নাকি অনেকেই তাঁর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিজেদের প্রচার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি একাধিক অভিযোগ করেছিলেন।
তাঁর ব্যক্তিগত নম্বর সমাজ মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে, যা একপ্রকার অন্যায়। তিনি কোনও অশা’লীন কথা বলেননি বা কাউকে অসম্মান করেননি। একজনকে বা হাজার জনকে ম্যাসেজ করলেও, সেটা শালীন ছিল। তিনি ফেসবুকে বহুদিন ধরে আছেন, তাই একাধিক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে তিনি কখনও কাজের বিনিময়ে কিছু প্রতিশ্রুতি দেননি বা কাউকে বিভ্রান্ত করেননি। শেষ পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান বিতর্কে ক্লান্ত ঋজু নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লাইভ ভিডিও করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, “প্রথমেই আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।]
আরও পড়ুনঃ “অর্জুনকেও ‘বৃহন্নলা’ সাজতে হয়েছিল, মহাভারতের ইতিহাস ভুলে যাবেন না!” কটা’ক্ষকারীদের আয়না দেখালেন অভিনেত্রী এলফিনা মুখার্জি!
বেশ কিছুদিন যাবত আমাকে নিয়ে যা সব হচ্ছে, এতে আমার মানসিক অবস্থা সত্যিই ভালো নয়। অনেকেই আমার মাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, বিভিন্ন রকম কটু কথা বলছেন। আমার কাছে মা ভগবানের থেকে কিছু কম না। তাঁকে যখন এসব বলা হচ্ছে, সেটা একপ্রকার নোংরামোর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। মা আমাকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন, আমার কথায় যদিও কোন অশালীন শব্দ ছিল না, তাও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা চাইতে। আমি ক্ষমা চাইছি, ভবিষ্যতে আর এমন কিছু হবে না। দয়া করে, আপনারা আর এই বিষয়টাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবেন না।” তাঁর এই আবেদন অনেকের কাছে মানবিক মনে হলেও, বিতর্কের আগুন পুরোপুরি নিভেছে এমনটা বলা যাচ্ছে না।






