স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’-তে (Chiroshokha) এখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে! বুবলাই ধীরে ধীরে নিজের অতীতের রাগ-অভিমান ভুলে নতুন কাকু ও মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করছিল। একসময় সে মায়ের প্রতি ক্ষোভ ছেড়ে আদর্শ ছেলে হিসেবে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ভাগ্যের লিখন অন্য কিছু — হঠাৎই এমন এক সত্য প্রকাশ্যে আসে, যা আবার সব সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়।
পরিবারের বাকি সদস্যরা যখন কমলিনীর সঙ্গে নানা প্রতারণার জাল বুনছিল, তখন বুবলাই মায়ের মর্যাদা ও মানসম্মান রক্ষায় আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। পার্বতীকে ঘিরে যখন পরিবারের মধ্যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়, তখন অনেকেই নতুনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এই পরিস্থিতিতেও কমলিনী নতুনের সংসার জীবনের শুরু নিয়ে খুশি ছিল। কিন্তু বিয়ের দিন নতুন জানিয়ে দেয়, পার্বতী নয়, আসলে কমলিনীর সঙ্গেই তাঁর আইনি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে — যা শুনে সবাই হতভম্ব!
এই অপ্রত্যাশিত সত্য প্রকাশের পরেই বাড়িতে শুরু হয় প্রবল অশান্তি। মায়ের এমন সিদ্ধান্তে বুবলাই ভীষণ আঘাত পায় ও ক্ষোভে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তার স্ত্রী বর্ষাসহ। সে বড় ছেলে হিসেবে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে বয়কট করে। কিন্তু যতই দূরত্ব বাড়ুক, বুবলাইয়ের মনে মায়ের প্রতি টান যেন থেকে যায়। একদিকে সে অভিমানী পুত্র, অন্যদিকে মায়ের সুখের জন্য উদ্বিগ্ন। ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বে দেখানো হচ্ছে, কমলিনী আর স্বতন্ত্র ফুলসজ্জার রাতে একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
অন্যদিকে বুবলাই অতি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহ’ননের পথ বেছে নেয়। মাঝরাতে হঠাৎ বর্ষা ফোন করে কমলিনীকে জানায়, বুবলাই আর কথা বলবে না কারণ ও আর নেই! এই নিয়ে ধারাবাহিক এখন চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি। বুবলাই কি আদেও বাঁচবে নাকি প্লুটোর মতো সেও মা’রা যাবে? কিন্তু দর্শক এখন এর থেকেও বেশি একটা বিষয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ যে, বারবার কেন এই ধারাবাহিকে আ’ত্মহ’ত্যার প্রবণতা দেখানো হয়? অনেকেই ভীষণ বিরক্ত, একটা পারিবারিক ধারাবাহিকে বারবার এমন মানসিকতা কেন দেখানো হবে!
সমাজ মাধ্যমে এই নিয়ে চলছে জোর সমালোচনা। কেউ বলছেন, “এটা অন্যায়, সবারই সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। বুবলাই অন্যায় করলো। সারা জীবন ছেলে আর বৌ ব্লা’কমে’ইল করে যাবে, ২০২৫ এই বা’র্তা সমাজের কাছে অত্যন্ত ভুল!” অন্য কেউ বলছেন, “বুবলাই নিজের বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিল ও বৌও মেনে নিয়েছিল আর মায়ের টা মানতে পারছে না কেন?” কেউ আবার বাবলাইয়ের পক্ষ নিয়ে বলছেন, “বিয়েটা কি খুব দরকার ছিলো? এটা স্বাভাবিক বাস্তবে এটা অনেক সময়েই সন্তানরা মেনে নিতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় সাফল্যের পর এবার হিন্দি ‘কথা’-তে ফিরছেন সাহেব ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দে! স্টার জলসার জনপ্রিয় জুটি এবার নতুন হিন্দি রিমেকে একসঙ্গে! শুরু হচ্ছে তাদের অভিনয় জীবনের নতুন অধ্যায় — কিন্তু হিন্দি দর্শকদের মনেও কি একই জাদু ছড়াতে পারবেন এই প্রিয় জুটি?
যদি বিয়েটা করার হতো অল্প বয়সে কেন করেনি, এটাই প্রশ্ন ? বুবলাই তো তখন আপত্তি করতে পারতো না, আর বিষয়টা সহজে মেনে নিতে পারতো শিশু মনে, যেমনটা হয়ে থাকে!” অন্যজন আবার প্লুটোর মৃ’ত্যু প্রসঙ্গ টেনে এনে বলছেন, “এই সিরিয়ালটা আর ভালো লাগছে না। একটার পর একটা শুধু সু’ইসা’ইড দেখিয়ে যাচ্ছে। অপছন্দের কিছু হলেই সব চরিত্ররা তৈরি যেন আ’ত্মহ’ত্যার জন্য। জঘন্য গল্প!” একজন আবার বলেছেন, “এতগুলো ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর যদি বুবলাইকে বেঁচে আছে দেখানো হয়, তাহলে প্লুটোর সাথে অন্যায় করা হবে!”






