“কমলিনী স্বতন্ত্র বা তার ভালোবাসার যোগ্যই না, অত্যন্ত স্বার্থপর এবং আত্মসুখী!” “বুবলাইয়ের মতো অসভ্য ছেলের জন্য যে ব্যবহার করছে স্বতন্ত্রের সঙ্গে, সেটা মানা যাচ্ছে না!”— তীব্র ক্ষোভে ‘চিরসখা’র দর্শকরা! প্রশ্ন উঠছে, কমলিনীকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়াই কি স্বতন্ত্রর ভুল হয়েছে?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’তে (Chiroshokha) এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি চলছে। একদিকে আজীবনের বন্ধুত্ব আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিকে যাতে কেউ বিকৃত ভাবে না দেখে, কালিমালিপ্ত না করে– তাই স্বতন্ত্র এক প্রকার বাধ্য হয়েই কমলিনীকে আইনি ভাবে বিয়ে করে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই ব্যাপারে স্বয়ং কমলিনীও জানত না। সবার থেকে লুকিয়ে, মিথ্যে বলেই স্বতন্ত্র বিয়েটা করেছে।

কারণ স্বতন্ত্র জানত যে, কমলিনী কোনদিনও রাজি হবে না তাকে বিয়ে করতে। বরাবর কমলিনী বলে এসেছে তারা বন্ধু, সামাজিক সম্পর্কে যেতে পারবে না। কিন্তু তাদের এই বন্ধুত্বকে সমাজ পরকী’য়ার চোখে দেখতে থাকায়, স্বতন্ত্র এই কাজ করে। এতে পরিবারের বেশিরভাগ লোক খুশি হলেও, কিছু জন মেনে নিতে পারে না। তার মধ্যে কমলিনীর বড় ছেলে বুবলাই একজন। সে মায়ের দ্বিতীয় জীবন অস্বীকার করে, আ’ত্মহ’ত্যার চেষ্টা করে!

Aparajita Ghosh Das

তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, কমলিনীকে দেখতে দেওয়া হয় না। এমনকি বুবলাই নিজেই জানিয়ে দেয় যে, তার মা মা’রা গেছেন অনেক আগেই! এইসব শুনে কমলিনী ভেঙে পড়ে। তাছাড়াও বুবলাইয়ের স্ত্রী বর্ষা কটাক্ষ করে, ছেলের অপছন্দ জেনেও কমলিনী বিয়ে করেছে আবার ফুলশয্যা করেছে! সবকিছুই কমলিনীর মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটায়। বাড়ি ফিরে আসতেই সে, স্বতন্ত্রর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার শুরু করে।

সারাদিন ধরে কমলিনীকে কাঁদতে দেখে, রাতে স্বতন্ত্র তাকে ঘুমোতে ডাকলে সে উল্টে বিকৃত মনে বের করে কথাটার। স্বতন্ত্রের উপর চিৎকার করে কমলিনী জানিয়ে দেয়, সে একা থাকবে নিজের ঘরে। তার সঙ্গে বলে, “ছেলেটা হাসপাতালে জেনেও, আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে বলে বাসর রচনা করতে যেতে পারবো না!” এই কথা যেমন অত্যন্ত অপমানজনক, তেমনই চিরসাখার মুখ থেকে শোনা— যেন তীরের ফলার মতো হৃদয় গেঁথে যাওয়ার সমান।

আরও পড়ুনঃ “আপনিও যে চটি চাটা সেটা জানতাম না!”— ঋতুপর্ণার জন্মদিনে মদন মিত্রকে গান গাইতে অনুরোধ করে নেটপাড়ায় কটা’ক্ষের মুখে সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী! ‘এবার কি ভোটে দাঁড়াবেন?’ তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দিয়ে ক’টাক্ষবিদ্ধ গায়িকা!

গতকাল ধারাবাহিকের এমন দৃশ্য এবং সংলাপ দেখেই সমাজ মাধ্যমে দর্শকরা আবারও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ বলছেন, “কমলিনী স্বতন্ত্র বা তার ভালোবাসার যোগ্যই না, অত্যন্ত স্বার্থপর এবং আত্মসুখী!” একজনের মতে, “আজ সত্যি স্বতন্ত্রকে দেখে ভীষন কষ্ট হচ্ছে! ওনার এই অবহেলাটা প্রাপ্য নয়! কমলিনী যে ব্যবহার করছে ওনার সাথে, সেটা মানা যাচ্ছে না! বুঝতে পারছি উনি একজন মা তাই মনের অবস্থা ভালো নেই।

কিন্তু বুবলাই’র মতো স্বার্থপর ছেলের জন্য নতুন কাকুর মতো মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়ার কোনও মানে হয়না!” অন্যজনের কথায়, “কমলিনীর এটা ঠিক হচ্ছে না। শুধু পেতেই জানল, দিতে জানলো না। স্বতন্তর ঘরে গিয়ে তারপাশে থাকলে, তার সঙ্গে মনের কথা ভাব করলে কি দুঃখ কমতো না? আর দেখবো না এই ধারাবাহিক! যে মানুষটা এত ত্যাগ, অপেক্ষা করল। তার কোনও দাম নেই। কমলিনীর এই ন্যাকামি সহ্য হচ্ছে না!”