সম্প্রতি ‘টেলি অ্যাকাডেমি’তে ‘সেরা জুটি’র খেতাব জিতেছে স্টার জলসার ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) ধারাবাহিকের স্বতন্ত্র আর কমলিনী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে তাদের রসায়ন বছরের সেরা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে সেই আনন্দের মুহূর্ত যেন এক ঝটকায় বিপরীত চিত্রে রূপ নিয়েছে! কমলিনী, যিনি সাধারণত তার বর্তমান স্বামী তথা চিরসখার প্রতি অবিচলিত আস্থা দেখাতেন, হঠাৎই স্বতন্ত্রের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছেন! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দর্শকেরা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
এই ধারাবাহিকের শুরু থেকেই মানসিক দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের জটিলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে আসছে। স্বতন্ত্র আর কমলিনীকে ঘিরে বিতর্কগুলো ক্রমেই তীব্র রূপ নিচ্ছে, যত গল্প এগোচ্ছে। এই ঘটনাগুলো কেবল গল্পের উত্তেজনা বাড়াচ্ছে না বরং দর্শককে চরিত্রগুলোর আবেগ এবং পদক্ষেপ নিয়েও ভাবাচ্ছে। বর্তমান পর্বে, বর্ষার মিথ্যা ধ’র্ষ’ণের শিকার হওয়ার অভিযোগ আর কমলিনীর দ্বিধা একদিকে যেমন চরম নাটকীয়তা তৈরি করেছে অন্যদিকে মানুষের সাধারণ বিশ্বাস এবং অস্পষ্টতার বিষয়গুলোও সামনে এনেছে।
দর্শকরা তাই সমাজ মাধ্যমে কমলিনীর এই পরিবর্তনের প্রতি অমানবিকতার অভিযোগ আনছেন, তীব্র কটাক্ষ করছেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার লেখিকাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাদের মতে, লেখিকার রচিত সমস্ত চরিত্রগুলো যেন একপ্রকার ‘পেন্ডুলাম’-এর মতো, যার স্থিরতা নেই। ঠিক যেমন কমলিনী যে নিজের স্বামীর প্রতি বিশ্বাস রাখছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তার নিরবতা বিষয়টাকে আরও রহস্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
অনেক দর্শক মনে করছেন, কমলিনী হয়তো জানেন তার স্বামী নির্দোষ প্রমাণিত হবেন, তাই তিনি এখন কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছেন। উল্লেখ্য, ধারাবাহিকের গল্পের শক্তি শুধু নাটকীয় মুহূর্তে নয় বরং চরিত্রগুলোর জটিল মানসিক পরিস্থিতি এবং সম্পর্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনে নিহিত থাকে। দর্শকরা প্রতিটি দৃশ্যে নিজেদের অনুভূতির সংযোগ খুঁজছেন। গল্পের এই জটিলতা তাদেরকে এক ধরণের আবেগের ঘূর্ণিপাকে ফেলে দেয়, যেখানে এক মুহূর্তে তারা হাসছেন আবার পরের মুহূর্তে চিন্তিত।
আরও পড়ুনঃ চলতে চলতে দুম করে বন্ধ! ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-র নায়ক হতে না হতেই ধারাবাহিক বন্ধের খবরে বেজায় চটেছেন অভিনেতা রাহুল মজুমদার
এই ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর ধারাবাহিক নিয়ে বরাবরই কমবেশি বিতর্ক হয়। বস্তবঘেঁষা গল্পে চরিত্রদের জটিলতা নিয়েও অনেকেই কটাক্ষ করেন, প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেকোনও গল্পের মূল আকর্ষণ চরিত্রগুলোর বিশ্বাস, দ্বন্দ্ব আর মিলনই। যেমন এখানে স্বতন্ত্র-কমলিনীর সম্পর্কের এই নতুন মোড় দর্শকদের কৌতূহল বাড়াচ্ছে। এখন সবাই অপেক্ষায়, কে সত্যিই নির্দোষ এবং কে কৌশল ব্যবহার করছে? সেটা জানার জন্য। ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ পর্বগুলো নতুন কোন মোড় নেবে, সেটা এখন দর্শক ও সমালোচকের দুই পক্ষকেই ভাবাচ্ছে।






