মৌবনী সরকার আর সৌম্য রায়ের বিয়ে এখন রীতিমতো ঘরের বড় খবর। এতদিন ছিল শুধুই আড্ডা আর পরিকল্পনা, কিন্তু এখন সবকিছু সামনে—৩০ নভেম্বর বাঙালি রীতি মেনে চার হাত এক হতে চলেছে তাঁদের। শনিবার সরকার পরিবারে ধুমধাম করে হল আইবুড়ো ভাত। মেয়েকে সাজিয়ে, সব আয়োজন করে, ছবি তুলতে তুলতে বাড়িতে চারদিক সরগরম। আর সেই হইচইয়ের মাঝেই নিজের খুনসুটিতে আবারও কেন্দ্রবিন্দুতে মুমতাজ সরকার।
মুমতাজ মজার সুরেই জানালেন, জামাইবাবুর ওপর তাঁর কড়া নজর! হাসতে হাসতেই বললেন, “বিয়ের রাতে শ্যালিকাদের মোটা টাকা না দিলে কিন্তু মৌবনীকে ভ্যানিশ করে দেব!” শুনেই নাকি হবু বর সৌম্য মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন। সে কী! কিন্তু আসলে সবটাই ঠাট্টা। এমন যাদুশিল্পীর পরিবারে বিয়ে করে সৌম্য নাকি এখনও অবাক, এই পরিবারে প্রতিদিনই যেন নতুন ম্যাজিকের অভিজ্ঞতা।
এদিকে আইবুড়ো ভাতের দিন মৌবনী ছিলেন বিশেষ রূপে সজ্জিত। বেগুনি শাড়ি আর সোনার গয়নায় সাজে যেন দীপাবলির আলো। তাঁর পছন্দের মেনুতেও ছিল মাছ, মাংস, পায়েস, সবই পুরো বাঙালি আবেগে ভরা। আর বাড়িতে চলছে একেবারে উৎসবের কোলাহল, সাজসজ্জা, কেনাকাটা, মানেকা দি আর মেজদির দৌড়ঝাঁপ; তবুও সবারই মনে হচ্ছে কিছু যেন এখনো বাকি!
মুমতাজ জানালেন, বাবা পি.সি. সরকার (জুনিয়র) আবেগে এখনো অনবরত ভিজে চোখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মেয়ের বিয়ে বলে কথা, আনন্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে অস্থিরতা, ক্লান্তি আর হৃদয়ের টান। তবে মুমতাজ নিজের পোশাকের বিষয়ে এখনই মুখ খুলছেন না, শুধু বলছেন “সময় হলে সবাই দেখবেন!”
আরও পড়ুনঃ টেলি অ্যাকাডেমিতে ‘সেরা জুটি’ হয়েছে স্বতন্ত্র-কমলিনী, কিন্তু জুটির মধ্যে রসায়ন তো দূর বিশ্বাসের লেশ মাত্র নেই! ‘চিরসখা’য় কমলিনীর হঠাৎ পরিবর্তন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ দর্শকদের! কমলিনীকে পা’ল্টি’বাজ, লেখিকাকে ‘পেন্ডুলামের মতো চরিত্র’ লেখার জন্য ধুয়ে দিচ্ছে নেটপাড়া!
শেষে প্রশ্ন উঠল—মৌবনীর বিয়ের পর কি এবার মুমতাজের পালা? উত্তরে হাসতে হাসতেই তিনি বললেন, “হতে পারে আমার, হতে পারে দিদি মানেকার… আগে এটা শেষ হোক তারপর দেখা যাবে!” মোট কথা, সরকার পরিবারের বিয়ের প্রস্তুতি এখন একেবারে সিনেমার দৃশ্য, আর সামনে আরও চমক অপেক্ষা করছে!






