“থপথপে চেহারায় ধপধপে নাচ! ওনার থেকে অনেকেই ভালো নাচ, তৈল মর্দন করতে পারে না বলে সুযোগ নেই”, “কি জঘন্য নাচছেন! থামতে জানাও একটা আর্ট, ওনার এবার থামা উচিত!” কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচ নিয়ে সমাজ মাধ্যমে চরম সমালোচনার ঝড়!

নন্দনের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা যেন এক অন্য রকম উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল। আলো ঝলমল করছিল মঞ্চ, দর্শকের কোলাহল প্রাঙ্গণকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছিল আর প্রত্যেকের মুখে ছিল উত্তেজনা। কলকাতার ৩১তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় মঞ্চে উঠে দর্শকদের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানালেন নৃত্যশিল্পী ‘ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়’ (Dona Ganguly) । তাঁর নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে সেখানে উপস্থিত মানুষের তরফ থেকে তেমন কিছু না শোনা গেলেও, নাচের ভিডিওর একটি ছোট্ট অংশ ভাইরাল হতে, সাথে সাথে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক!

শুধু সৌরভ গাঙ্গুলির স্ত্রী বলে নয়, নৃত্য জগতে বেশ নাম রয়েছে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। দেশ বিদেশেও যান নৃত্য পরিবেশন করতে, প্রশংসাও পান। কিন্তু এদিন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর নাচের একটি অংশ নিয়ে সমাজ মাধ্যমে আর শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সেখানে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে দুর্গা রূপে নাচের মাধ্যমে অসুর বধ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁর নাচ দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “কি জঘন্য নাচছেন! ওডিসি এমন একটা নৃত্যকলা যেটা গ্রেসফুলি না করলে ভালো লাগে না।

থামতে জানাও একটা আর্ট, ওনার এবার থামা উচিত!” এছাড়া কেউ বলেছেন,”অনেক বছর আগে প্রথম ওনার নাচ দেখেছিলাম, সেই প্রথম আর সেই শেষ। শরীরের দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। একটা সময়ের পর থেমে যাওয়াই শ্রেয়!” একজন মন্তব্য করেছেন, “এটাকে ডোনা গাঙ্গুলির নাচ না বলে সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রীর নাচ বললে বরং বেশি উপযুক্ত হতো। আসলে উনি নৃত্য শিল্পী হিসেবে যত না পরিচিত, সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রী হিসেবে বেশি পরিচিত।”

ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় যে বিভিন্ন মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করে প্রশংসা অর্জন করেছেন, তা কেউ অস্বীকার করছেন না। কিন্তু এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দর্শকরা তার পরিবেশনাকে গ্রহণ করতে পারলেন না। “থপথপে চেহারায় ধপধপে নাচ! পাড়ায় পাড়ায় প্রচুর মানুষ আছেন ওনার থেকেও ভালো ডান্স করেন।” এই মন্তব্যটিতে যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, অনেকেই এই নাচকে ন্যায্য মানদণ্ডে রাখেননি! মঞ্চে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচে সিনেমার ছন্দ আর আবেগ মিশেছিল, কিন্তু সেটি দর্শকদের প্রত্যাশার সাথে খাপ খায়নি।

আরও পড়ুনঃ ‘ছোট্ট কুকুরগুলো আজও ওর ঘরে গিয়ে শুয়ে আছে, খুঁজছে ওকে, ওদেরও মনে পড়ে দিতিকে!’ দিতিপ্রিয়ার বিদায়! চিরদিন‌ই’র সেটজুড়ে শূন্যতা, স্মৃতি আর মনখারাপ

কটাক্ষপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা এমনই যে, স্পষ্টতই এই পরিবেশনা নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। কেউ বলছেন, “এর থেকেও অনেক ভালো মানের নৃত্য শিল্পী আমাদের এলাকাতে আছে। শুধু তৈল মর্দন করতে পারেনি বলে হয়তো তাঁরা এই স্টেজ গুলো পায়না।” উল্লেখ্য, মঞ্চের সোনালী আলো আর উচ্ছ্বাসের মাঝেও নাচের এই মুহূর্ত দর্শকদের মধ্যে ভিন্ন ধরণের অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। একজনের চোখে তা অপূর্ব নৃত্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, আবার অন্যজন তা নিন্দনীয় মনে করছেন। তবে, সামাজিক মাধ্যমের চিত্র বলে দিচ্ছে যে এই নাচ নিয়ে কটাক্ষের ঝড় আর দর্শকদের অসন্তোষ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে না।