সোশাল মিডিয়ায় দিন কয়েক ধরেই ঝড়—‘পালরিতি’ জুটির কি সত্যিই শেষ হয়ে গেল? একসময় যাঁদের দেখে অনেকে প্রেম মানে কী তা শিখে নিয়েছিলেন, সেই স্মৃতি মন্ধানা এবং গায়ক পলাশের সম্পর্ক নাকি বড়সড় সংকটে! বিয়ের আগের রাতেই পলাশের ঘনিষ্ঠ চ্যাট ভাইরাল হওয়ার পর জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
গত রবিবারই সাতপাকে বাঁধা পড়ার কথা ছিল স্মৃতি ও পলাশের। কিন্তু আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্মৃতির বাবা, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এরপরেই বিয়ে স্থগিতের ঘোষণা আসে মুচ্ছল পরিবারের তরফে। শুধু তাই নয়—বিয়ের ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে একে একে মুছে ফেলেছেন স্মৃতি ও তাঁর কাছের ক্রিকেটাররাও।
ঠিক তখনই সামনে আসে একগুচ্ছ স্ক্রিনশট। অভিযোগ—থানের কোরিওগ্রাফার মেরি ডি’কস্টার সঙ্গে নাকি পলাশের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা। কোনও স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে তিনি সাঁতার কাটতে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন, আবার কোনওটায় সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার কথা বলছেন। এমনকি দূরত্বের কারণে স্মৃতিকে ডেট করা কঠিন—এই মন্তব্যও নাকি করেছেন তিনি। যদিও এই স্ক্রিনশটগুলির সত্যতা নিশ্চিত নয়।
সবচেয়ে আলোচনার বিষয়—স্মৃতির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মেরির সঙ্গে পলাশের বন্ধুত্বই কি সম্পর্কের ভাঙনের কারণ? জল্পনা ছড়াতেই নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে সমস্ত ছবি মুছে ফেলেছেন মেরি। তাঁর এমন আচরণ স্বভাবতই প্রশ্ন বাড়িয়েছে—কিছু লুকোনো হচ্ছে কি?
আরও পড়ুনঃ ‘এতো বড় মানুষ সলিল চৌধুরী, তবুও তাঁর নামে কোনও মেট্রো স্টেশন নেই!’ ‘স্বাভাবিকভাবে ভাবা উচিত ছিল প্রশাসনের, বাবার মতো মানুষকে ভুলে যাওয়া যায়?’ আক্ষেপ সলিল কন্যা অন্তরা চৌধুরীর! ‘শিল্পী হলেই তার নামে মেট্রো স্টেশন বানাতে হবে?’ প্রশ্ন নেট পাড়ার
তারপরই শোনা যাচ্ছে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি—বিয়ের ঠিক আগের রাতেই নাকি পলাশ ও মেরিকে খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে! যদিও এসবই এখনো শুধুই গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত ‘পালরিতি’র বিয়ে স্থগিতই থাকবে, নাকি সত্যিই শেষ হয়ে যাবে এই সম্পর্ক—এখন তাকিয়ে আছে নেটদুনিয়া।






