‘ছোট্ট কুকুরগুলো আজও ওর ঘরে গিয়ে শুয়ে আছে, খুঁজছে ওকে, ওদেরও মনে পড়ে দিতিকে!’ দিতিপ্রিয়ার বিদায়! চিরদিন‌ই’র সেটজুড়ে শূন্যতা, স্মৃতি আর মনখারাপ

টানা শুটিং, একসঙ্গে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন, গল্পের ধারে কাছে বন্ধুত্ব, হাসি আর খুনসুটি। এত দিনের সঙ্গী দিতিপ্রিয়া রায় আচমকাই শুটিং সেট থেকে বিদায় নিলেন। খবরটা পৌঁছনোর পর থেকেই যেন বদলে গেছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর পরিবেশ। যেন কেউ নেই, অথচ সবার মনেই আছে।

অভিনেতা অভ্রজিৎ চক্রবর্তী, যিনি পর্দায় ‘কিঙ্কর’, এখনও মানতে পারছেন না দিতিপ্রিয়ার চলে যাওয়া। বললেন, “ও তো খুবই ছোট। ওর সঙ্গে ঝগড়া বা দূরত্ব তৈরি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। সবারই সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল।” তবে কেন এমন পরিস্থিতি? অভ্রজিতের মতে, আজকাল সমাজমাধ্যম অনেক সময় বাস্তবের সম্পর্কেও দাগ ফেলছে। মানুষ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে, যা অস্বস্তিকর হলেও এখন আর এড়ানোর উপায় নেই।

সেটের পরিবেশ এখন অনেকটাই ভারী। চিত্রনাট্যেও অপর্ণা হারিয়ে গেছে। দুই বন্ধু খুঁজছে তাকে। আর ঠিক সেই দৃশ্যের পিছনেই নাকি বাস্তবের শূন্যতা আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে। অভ্রজিৎ বললেন, “ভাবিনি বাস্তবেও এমন হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়—কেউ ছিল, সে যেন হঠাৎ নেই।”

দিতিপ্রিয়ার পর্দার মা সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না। বললেন, “জানেন, ছোট্ট কুকুরগুলো আজও ওর ঘরে গিয়ে শুয়ে আছে। খুঁজছে ওকে। এমনকি ওদেরও মনে পড়ে দিতিকে।” তার কণ্ঠে অভিমান আর অসম্পূর্ণতার আভাস—“দর্শক চেয়েছিলেন জীতু-দিতিপ্রিয়াকে একসঙ্গে। এখন নতুন কেউ এলে কাজ করব ঠিকই, কিন্তু ব্যথা যাবে না।”

পর্দার ‘সন্তু’ তন্ময় মজুমদারও ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কথায়, “বন্ধু চলে গেছে। নতুন কেউ আসবে, কাজও করব, কিন্তু দিতিপ্রিয়াকে কি ভুলতে পারব?” প্রশ্নটা সেটের সবার মনেই ঘুরছে—নায়িকা বদলানো গেলেও, স্মৃতি বা বন্ধুত্ব কি বদলায়?

আরও পড়ুনঃ ‘দিতিপ্রিয়া ঠিক করেছে ধারাবাহিক ছেড়ে, জিতুর ভক্তরা এতটাই নোং’রা মানসিকতার যে মেয়েটাকে ছিঁড়ে খেত!’ ‘জিতুর বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিলে এমন হতো না, ও আর যাই হোক মহান পুরুষ নয়!’– দিতিপ্রিয়ার সরে দাঁড়ানোয় তীব্র প্রতিক্রিয়া দর্শকদের, দোষারোপের তীর জিতুর ভক্তদের ঘিরে!

এখন অপেক্ষা—নতুন অধ্যায়ের। কিন্তু অনুভূতি বলছে, দিতিপ্রিয়ার জায়গা শুধু চরিত্রে নয়, সম্পর্কেও অচেনা এক ফাঁকা জায়গা রেখে গেল।