‘এতো বড় মানুষ সলিল চৌধুরী, তবুও তাঁর নামে কোনও মেট্রো স্টেশন নেই!’ ‘স্বাভাবিকভাবে ভাবা উচিত ছিল প্রশাসনের, বাবার মতো মানুষকে ভুলে যাওয়া যায়?’ আক্ষেপ সলিল কন্যা অন্তরা চৌধুরীর! ‘শিল্পী হলেই তার নামে মেট্রো স্টেশন বানাতে হবে?’ প্রশ্ন নেট পাড়ার

সময়টা ১৯৫০-এর দশকে, যখন সমাজ জুড়ে চরম অস্থিরতা আর সংগ্রামের ছায়া ছিল। তখন তাঁর গান সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে এক অসাধারণ সংযোগ গড়ে তুলেছিল। ‘সলিল চৌধুরী’র (Salil Chowdhury) প্রতিটি সুর যেন জনজীবনের বেদনা ও আশা একত্র করে মানুষের মনে সাহসের জাগরণ ঘটাতো। ‘পৌষালি বাতাসে পাকা ধানের বাসে’ বা ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেব মেপে’, এমন গানগুলো শুধুই সঙ্গীত নয়, সময়ের এক দৃষ্টান্ত। যা সাধারণ মানুষের সংগ্রাম ও অনুভূতির কণ্ঠস্বর হিসেবে আজও প্রতিধ্বনিত হয়।

তিনি খুব কম বয়সে, মাত্র বিশ বছরেই এমন সুরের সৃষ্টি করেছিলেন যা আজও বিস্ময় জাগায়। তাঁর আধুনিক বাংলা গান বাংলা সংগীতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় থেকে শ্যামল মিত্র, প্রায় সব নামকরা শিল্পীই তাঁর গান গেয়েছেন। তাঁর গান শুধু মানুষকে শুধু একত্র করেনি, বরং সাহসী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে এবং প্রতিটি সুরে শিল্পের সম্ভাবনাকে নতুন করে ফুটিয়ে তুলেছে। আজ তাঁর একমাত্র উত্তরসূরি হিসেবে রয়েছে কন্যা ‘অন্তরা চৌধুরী’ (Antara Chowdhury)

যাঁর কন্ঠে ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে’ গান আজও সমান জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে জানালেন, কলকাতায় বিভিন্ন শিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মেট্রো স্টেশন থাকলেও তাঁর বাবা এতবড় একজন মানুষ, তবুও তার নামে কোনও স্টেশন নেই! তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, “ভীষণ আক্ষেপ আছে আমার যে কেন বাবার নাম নেই? আমাকে কেন এটা বলতে হবে তাঁর মেয়ে হিসেবে? এটা তো স্বাভাবিকভাবেই ভাবা উচিত ছিল প্রশাসনের! আমি ঠিক করেছি, সবার থেকে একটা পত্রে সই নিয়ে মুভমেন্ট তৈরি করব।

বলবো এটা আমাদের চাই, এটাই দাবি!” সমাজ মাধ্যমে তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ পেতেই যত না সমর্থন এসেছে, তার থেকে বেশি ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। কেউ বলেছেন, “মেট্রো স্টেশন কারোর নামে নয়, তিনি যেই হোন না কেন বরং সেই জায়গার নামেই করা উচিত!” অন্যজন বলেছেন, “আপনার বাবাকে সম্মান জানিয়ে বলছি যে মান্না দে, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, এই রকম বহু প্রতিভারা আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেন বলে সবার নামে কি করা সম্ভব?” একজন বলেছেন, “স্বাভাবিকভাবে যদি না থাকে তবে সমস্যা টা কোথায়!

আরও পড়ুনঃ ২২ বছরের ব্যস্ত কেরিয়ারের পর হঠাৎ বিরতি! ছোটপর্দা ছেড়ে নতুন কোন চ্যালেঞ্জের পথে দেবযানী চট্টোপাধ্যায়?বাংলা ধারাবাহিকে ইতি টেনে মুম্বাইতে কীসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী?

কী অদ্ভুত দাবি আবার নাকি মুভমেন্ট! সলিল চৌধুরীর মেয়ে যে ভাবে বলছেন, সলিল চৌধুরীর চৌধুরীর চিন্তা ভাবনা এতো চিপ কোয়ালিটির ছিল কি! সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় যে লেভেলে উনি সাহিত্য উপন্যাস সৃষ্টি করে গেছেন ওনার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার উচিত ছিল। কই ওই নামটা তো কেউ একবার বলেনি!” অনেকেই যেমন বলেছেন যে ওনার নামে হওয়া উচিত ছিল। আবার অন্যজনের বলছেন, সলিল কন্যার এই দাবি অনৈতিক! আপনারা কোন পক্ষকে সমর্থন করবেন?