বিনোদন জগতকে আমরা অনেক সময় ঝলমলে আলোয় মোড়া এক স্বপ্নের দুনিয়া ভাবি। রেড কার্পেট, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ—সবকিছুই যেন লোভনীয়। কিন্তু এই আলোয় ঢাকা রঙিন পর্দার আড়ালেও লুকিয়ে থাকে অজস্র অন্ধকার দিক। কখনও অনিশ্চয়তা, কখনও সংগ্রাম, কখনও আবার নিজের শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আপসও করতে হয় শিল্পীদের। এই বাস্তবতাই বারবার মনে করিয়ে দেয় শিল্পী হওয়া মানে শুধু প্রশংসা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অদৃশ্য চাপ, টিকে থাকার লড়াই।
এই অদৃশ্য সংগ্রামের মাঝেই আলাদা উজ্জ্বলতায় জ্বলেছেন অভিনেতা কৌশিক সেন। থিয়েটার থেকে অভিনয়জীবন শুরু করলেও টলিউডে আজ তিনি এক অনন্য নাম। ধারাবাহিক, সিনেমা কিংবা থিয়েটারের মঞ্চ—তাঁর উপস্থিতি মানেই দর্শকের আলাদা প্রত্যাশা। বছরের পর বছর নিজের কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি জনপ্রিয়তার নয়, শিল্পের প্রতি নিবেদিত।
বর্তমানে কৌশিক সেনের হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমা ও সিরিয়ালের চরিত্র। নতুন প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে তিনি যেমন সময় দেন, তেমনই নিজের শিল্পযাত্রা নিয়েও ভাবেন। ব্যস্ততার মাঝেই অভিনেতা জানিয়েছেন—শিল্প নিয়ে তাঁর যাত্রা কখনওই সহজ ছিল না, বরং প্রতিটি পদেই ছিল নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুনঃ পাকাপাকিভাবে ভাঙলো বিয়ে! আজকের তারিখেই বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন পলাশ, কিন্তু বিয়ের দিনেই বিয়ে ভাঙলেন স্মৃতি! অবশেষে পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা!
তবে সবচেয়ে স্পষ্ট ও সত্য স্বীকারোক্তি ছিল তাঁর প্রথম ভালোবাসা নিয়ে। কৌশিক সেন অকপটে জানিয়েছেন—“থিয়েটার মঞ্চই আমার প্রথম ভালোবাসা। কিন্তু আমাদের দেশে থিয়েটার করে পেট চালানো যায় না। সেই কারণেই টলিউডে অভিনয় করছি, নয়তো টলিপাড়ায় আমাকে দেখা যেত না।” কিছুটা আক্ষেপ, কিছুটা বাস্তবতা—দুটো মিলেই তাঁর কথায় ফুটে ওঠে নাট্যমঞ্চের প্রতি অগাধ টান।
শেষ পর্যন্ত তাঁর এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে, অভিনয় তাঁর কাছে পেশা নয়—আবেগ। বেঁচে থাকার তাগিদে টলিউডে কাজ করলেও তাঁর প্রাণের জায়গা এখনও সেই থিয়েটারের মঞ্চেই। শিল্পের প্রতি তাঁর এই নিষ্ঠা আবারও মনে করিয়ে দেয়—ঝলমলে দুনিয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে অনেক গভীর গল্প, যা শুধুই একজন শিল্পীই বুঝতে পারেন।






