বিনোদন জগতের তারকারা কী ভাবছেন, কী বলছেন—সে দিকেই স্বাভাবিকভাবেই নজর থাকে সাধারণ মানুষের। রুপোলি পর্দার মানুষদের কথাবার্তা অনেক সময় শুধু বিনোদনের গণ্ডিতে আটকে থাকে না, বরং জীবনের নানা বাঁকে পথ দেখায়। অভিজ্ঞতার আলোয় বলা কিছু কথা দর্শকের মনে দাগ কাটে, কারণ সেই কথার আড়ালে থাকে বহু উত্থান-পতনের গল্প, সাফল্য আর জীবনের শিক্ষা।
সেই কারণেই আজও আলাদা করে শোনা হয় টলিউডের প্রবীণ অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের কথা। কয়েক দশক ধরে তিনি শুধু অভিনয়ের জোরেই নয়, নিজের ব্যক্তিত্ব ও মননের মাধ্যমে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পর্দায় নায়ক হোক বা যেকোনো চরিত্রের অভিনেতা—প্রতিটি ভূমিকায় ছিল পরিমিতি, ছিল ভারসাম্য। সময় বদলেছে, ধারা বদলেছে, কিন্তু রঞ্জিত মল্লিকের গ্রহণযোগ্যতা কমেনি।
দর্শকের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম কারণ তাঁর মানসিকতা। কখনও অহংকারে ভেসে যাওয়া নয়, আবার নিজের অবস্থান নিয়েও অযথা আড়ম্বর নয়—এই মধ্যপন্থাই যেন তাঁর জীবনের মূল দর্শন। তাই আজকের প্রজন্মও তাঁর অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর জীবনদর্শনের প্রতিও আকৃষ্ট হয়। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যে স্থিরতা দেখিয়েছেন, তা আজকের দ্রুত সাফল্যের যুগে আরও প্রাসঙ্গিক।
সম্প্রতি নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, ভালো-মন্দের খেয়াল রাখা কতটা জরুরি। তাঁর কথায়, একটু নাম-ধাম হয়ে গেলেই অনেকেই জীবনের মূল বিষয়গুলো ভুলে যায়। সাফল্য এলেই লোভ, অহংকার বা অতিরিক্ত চাওয়ার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে—আর সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যার।
আরও পড়ুনঃ যুবভারতী কান্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সুনাম দুর্নামে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে! মানহানির অভিযোগে লালবাজারে অভিযোগ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
অভিনেতার মতে, জীবন সুন্দর রাখতে হলে ভারসাম্যই আসল চাবিকাঠি। একটু ব্যালান্স করে চলা, লোভে না পড়া, নিজের শিকড় ভুলে না যাওয়া—এই সাধারণ নিয়মগুলো মেনে চললেই জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। অভিজ্ঞ এক শিল্পীর এই সহজ অথচ গভীর বক্তব্যই ফের মনে করিয়ে দেয়, তারকাখ্যাতির আড়ালেও আসল শক্তি লুকিয়ে থাকে সংযম আর মানবিকতায়।






