একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে কাজ, একাধিক হিট গান রয়েছে জিৎ গাঙ্গুলীর (Jeet Ganguly) কন্ঠে দেবের (Dev) ছবিতে। টলিউডে কোথাও গিয়ে যেন জিৎ গাঙ্গুলী মানেই দেব আর দেব মানেই জিৎ গাঙ্গুলী। সেই ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ থেকে সম্প্রতি ‘ফুটবে বিয়ের ফুল’ দেবের অভিনয় জীবনের কুড়ি বছরে জিৎ গাঙ্গুলীর অবদান অনেকটা, এটা মেগাস্টার নিজেও স্বীকার করেছেন। এদিকে দেবকে নিয়ে জিৎ গাঙ্গুলীর প্রশংসা নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক এক ভিডিও ঘিরে সেই আলোচনা আবার সামনে এসেছে।
সেখানে জিৎ খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই দেবের কাজের প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা বলেন। অভিনয় মানেই শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো নয়, এই ভাবনাটাই যেন বারবার উঠে আসে জিতের কথায়। বিশেষ করে গানের দৃশ্যে দেব যেভাবে নিজেকে ভেঙে ফেলেন, সেটাকে জিৎ দেখেন দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের ফল হিসেবে। তাঁর মতে, এই অভ্যাস আর নিষ্ঠাই দেবকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। লিপ মেলানোর প্রসঙ্গে জিৎ যে তুলনাটা টেনেছেন, সেটাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি মনে করেন, প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুরের সঙ্গে দেবের একটা অদ্ভুত মিল আছে এই জায়গাটায়! গান চলার সময় দর্শকের যেন কখনও মনে না হয় অন্য কেউ গাইছে আর এই অনুভূতিটাই বড় কথা। জিৎ বলছেন, এই দক্ষতা হঠাৎ করে আসে না। দিনের পর দিন রেকর্ডিং রুমে বসে থাকা, গায়কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে তৈরি করার লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই একজন অভিনেতা এমন জায়গায় পৌঁছয়। পেশাদার জীবনের বাইরেও দু’জনের সম্পর্কটা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।
সেই কারণেই দেবের বিয়ে নিয়ে জিৎ মজার ছলে প্রকাশ্যে নানা কথা বলতেও দ্বিধা করেন না। হাসি-ঠাট্টার মধ্যেও কিন্তু একটা আন্তরিকতা থাকে, যেটা তাঁদের সম্পর্ককে আরও মানবিক করে তোলে। তবে ব্যক্তিগত রসিকতার আড়ালে জিৎ কখনওই দেবের কাজকে হালকা করে দেখেন না। বরং সুযোগ পেলেই তিনি দেবের পরিশ্রম আর শেখার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। একটি ছবির উদাহরণ টেনে জিৎ বোঝান, কোনও দৃশ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে অভিনেতাদের কী পরিমাণ প্রস্তুতি নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ মৌল’বাদীদের হিংসায় জ্বলছে ‘ছায়ানট!’ স্তব্ধ সুরের দেশ, চোখ জলে এপার বাংলার শিল্পীমহলের! কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শ্রাবণী সেন
সঞ্জীব কাপুর শুধুমাত্র একটি সেতার বাজানোর দৃশ্যের জন্য দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছিলেন, ঠিক তেমনই দেবও করেন। জিতের চোখে এই মনোভাবটাই একজন অভিনেতাকে বড় করে তোলে। দর্শক হয়তো পর্দায় কয়েক মিনিটের দৃশ্য দেখেন, কিন্তু তার পেছনের প্রস্তুতিটা থেকে যায় অদৃশ্য। তিনি নিজে দেখেছেন, কীভাবে দেব প্রতিদিন স্টুডিওয় এসে বসে থাকতেন আর গানের প্রতিটা শব্দের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। সেই ধারাবাহিক চেষ্টার ফলেই আজ দেবের গানের দৃশ্যগুলো এত স্বাভাবিক লাগে।






