বাংলা সিনেমার সুদিন দুর্দিনের বিতর্ক নতুন নয়। সোশাল মিডিয়ায় প্রায়ই দাবি ওঠে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু বাস্তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। কখনও ভুয়ো বক্স অফিস ফিগার নিয়ে প্রশ্ন, কখনও আবার কৃত্রিমভাবে হল ভরানোর অভিযোগ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ভুয়ো রেটিং কমানোর তত্ত্ব, যা শীতের মরশুমে টলিপাড়াকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
চলতি বড়দিনে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে তিনটি বড় বাংলা ছবি। আগে থেকেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল দুই জনপ্রিয় তারকার ছবি মুখোমুখি হওয়ার কারণে। মুক্তির পর সেই প্রতিযোগিতা যে এতটা তিক্ত হয়ে উঠবে, তা কেউ ভাবেননি। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও প্রযোজক রানা সরকারের লেখায় অনেকেই বুঝছেন, এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠছে বলে গুঞ্জন, তাঁর সঙ্গে সৃজিত ও রানার সম্পর্ক এতদিন বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। একে অপরের ছবির পাশে দাঁড়ানো, প্রিমিয়ারে উপস্থিত থাকা সবই দেখা গেছে। সেই সমীকরণে হঠাৎ চিড় ধরার কারণ কী, তা নিয়েই প্রশ্ন। কানাঘুষো বলছে, প্রেক্ষাগৃহের স্লট না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই নাকি প্রতিদ্বন্দ্বী ছবির রেটিং কমানো হচ্ছে।
সৃজিত তাঁর পোস্টে সরাসরি নাম না করলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, শীতকালে কী কী করা হয়েছে সবই জানা আছে এমনকি কোন এজেন্সি ব্যবহৃত হয়েছে তাও। অন্যদিকে রানা সরকার আরও একধাপ এগিয়ে প্যান্ডোরা বক্স খোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বক্স অফিস ফিগার বাড়িয়ে দেখানো আসলে ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা, যা শেষ পর্যন্ত প্রযোজকদেরই ডুবিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ “আমার দুনিয়াটা বড়, পুরনো বই পড়া ধাতে নেই, যেখানে অযাচিত ভিড়, সেখানেও আমি নেই”— অকপট স্বস্তিকা দত্ত!
এই উত্তেজনার মধ্যেই রানার আরেকটি পোস্ট নতুন করে আগুনে ঘি ঢেলেছে। সেখানে বিশেষ একজনের নাম উল্লেখ করে ভক্তির কথা বলায় টলিপাড়ার অন্দরে অভিযোগের দিক স্পষ্ট হয়েছে বলেই মত অনেকের। শোনা যাচ্ছে, স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকেও এই বিষয় নিয়ে তুমুল ঝড় উঠতে পারে। সব মিলিয়ে একটাই প্রত্যাশা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলা সিনেমার স্বার্থে সবাই সচেতন হোক এবং সত্যিকারের চৈতন্য ফিরে আসুক।






