নিউটাউনে দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল বিশেষ উন্মাদনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাবুল সুপ্রিয়, নচিকেতা, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। অসুস্থ শরীর নিয়েও মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর কণ্ঠে গান শুনে মুগ্ধ হন উপস্থিত সকলেই। অনুষ্ঠানের আবহে যেন সুরের সঙ্গে মিশে গেল আবেগও।
গান গাইতে গিয়ে রাজ্য সঙ্গীত একাডেমিতে পা রাখতেই হঠাৎই ছোটবেলার দিনগুলিতে ফিরে যান ইমন। এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর বেড়ে ওঠার অজস্র স্মৃতি। মা বাবা দাদুর হাত ধরে কম্পিটিশনে অংশ নিতে আসা হার জিতের আনন্দ সব কিছু যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজ সেই মা আর নেই এই ভাবনাতেই মন ভারী হয়ে ওঠে শিল্পীর।
সেই আবেগের মুহূর্তকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন ইমন। সঙ্গীত একাডেমির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবির সঙ্গে তিনি লেখেন ছোটবেলার প্রতিযোগিতা প্রথম হওয়া কিংবা কিছু না পাওয়ার অভিজ্ঞতা আজও মনে দাগ কেটে রয়েছে। জীবনের পথ অনেক দূর এগোলেও শিকড়ের স্মৃতি বারবার ফিরে আসে বলেই চোখে জল আসে তাঁর।
মায়ের কথা স্মরণ করে ইমন লেখেন পরিবারের সকলের লড়াইয়ের কথা। মা বাবা কাকা মাসি মামা সকলের সংগ্রামই তাঁকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। সামনে আরও অনেকটা পথ বাকি এই বিশ্বাস নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন। তাঁর লেখায় স্পষ্ট ভালবাসা কৃতজ্ঞতা আর গভীর অনুভূতির ছাপ।
আরও পড়ুনঃ “এই সময় মাকে দরকার সব থেকে বেশি!” মানসিক-শারীরিক বিপর্যয়ে মিঠি, কিন্তু পাশে নেই পরিবার! কেন সব দায়িত্ব কৃশানুর কাঁধে? সংবেদনশীলতার নামে বাড়াবাড়ি, ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে ‘চিরসখা’! পরিবারের গা-ছাড়া ভাব আর কৃশানুর বাড়াবাড়ি নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শক!
এদিন ইমনের গান শুনে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বর থাকা সত্ত্বেও মা দুর্গা এবং নমঃ শিবায় স্তোত্র পাঠ শুনে তিনি আপ্লুত হন। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশংসার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে ইমন কি তবে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেই ইমন জানান সিদ্ধান্ত নিলে তিনি নিজেই সকলকে জানাবেন।






