‘বায়োলজি পড়ে ইঞ্জিনিয়ারও হওয়া যায় নাকি!’ ‘ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার এক কলেজে পড়ে?’ ‘বোর্ডে ‘নলেজ’ বানানটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে গল্পকারের কি অবস্থা!’ শুরুতেই টিআরপিতে নজর কাড়া ফলাফল, তবুও বিতর্কিত দৃশ্য এবং সংলাপের জেরে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মুখে, স্বস্তিকা দত্তের ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’!

ফের একবার টেলিভিশনের পর্দায় স্বস্তিকা দত্তের (Swastika Dutta) অভিনয়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে নতুন ধারাবাহিক ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’ (Professor Bidya Banerjee)। দীর্ঘ আট বছরের বিরতির পর এই ধারাবাহিকে ফিরে, চরিত্র ‘বিদ্যা’র মাধ্যমে শক্তিশালী নারীপ্রতীক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন। গল্পে বিদ্যা শুধু একজন শিক্ষিকা নয়, বরং শিক্ষার পাশাপাশি অন্যের সম্মান রক্ষায় সতর্ক ও সাহসী ভূমিকা পালন করে। ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমোতেই দর্শকরা দেখতে পেয়েছিলেন সরস্বতী পুজোর দিন বিদ্যার শিক্ষা এবং তার তৎপরতা, যা সমাজ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল।

ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগে। প্রথম থেকেই টিআরপি তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে, প্রথম পাঁচটা সেরা ধারাবাহিকের মধ্যে। তবে, এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের সবচেয়ে আলোচিত অংশ হলো সাম্প্রতিক পর্বে ক্লাসরুমের দৃশ্য। প্রফেসর বিদ্যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কখনো কড়া সুরে বক্তব্য দেন, আবার কখনও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কঠিন পদক্ষেপও নেন। একটি পর্বে দেখা গেছে, বিদ্যা তার ভাইকে শিক্ষার্থীদের নাম করে বলছে, “এই কলেজ থেকে পড়ে মেধাবী ছাত্ররা কেউ ডাক্তার হবে।

কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে বা বিদেশে গিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।” সংলাপটা শুনতে স্বাভাবিক লাগলেও, দর্শকরা লক্ষ্য করেছেন যে একই কলেজে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং একসাথে পড়ানো কখনওই বাস্তবসম্মত নয়! এছাড়াও পেছনের ব্ল‍্যাকবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘নলেজ ইজ দা পাওয়ার’, যেখানে ‘নলেজ’ বানানটাই ভুল হওয়ায় দর্শকরা খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না। এই ছোটখাটো ত্রুটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে এবং ধারাবাহিকের গল্পের বাস্তবতা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি করেছে।

এই মুহূর্তে চলছে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করে হাসাহাসি। কেউ বলছেন, “বায়োলজি শিক্ষিকা আবার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় নাকি?” অন্যজন বলেছেন, “পেছনে বোর্ডে লেখা নলেজ বানানটাই বলে দিচ্ছে, ধারাবাহিকের লেখকের কি অবস্থা!” একজন বলেছেন, “গল্পের গরু গাছে ওঠে জানতাম, তাই বোলে বাইয়োলজি পড়ে ইঞ্জিনিয়ার!” তবে দর্শকরা শুধু সমালোচনা করছেন না, অনেকেই ধরন ও বার্তার জন্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। বিশেষ করে প্রথম কয়েকটি পর্বে গল্পে যেভাবে নারীর সাহস,

আরও পড়ুনঃ ‘মায়ের রান্না গুলো শিখে নিয়ে এভাবেই মাকে ধরে রাখতে চাই, আর দশ-পনেরো বছর পর এই কাছের মানুষগুলোই হয়ত থাকবে না!’ অভিনেত্রীর কথায় ধরা পড়ল সময়ের ভয়! ব্যক্তিগত অনুভূতি ভাগ করে, ভবিষ্যতে মায়ের শূন্যতার নিয়ে আবেগে ভাসালেন শোলাঙ্কি রায়!

শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক সচেতনতার তুলে ধরা হয়েছে মিশ্রণকে প্রশংসা করছেন। প্রোমো থেকেই বিতর্ক তৈরি হলেও, ধারাবাহিকের মূল লক্ষ্য দর্শকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানো এবং নারীর মর্যাদা নিয়ে সচেতন বার্তা পৌঁছে দেওয়া। অভিনেত্রী স্বস্তিকাও পুনরায় ঘরের মেয়ের ইমেজ ধরে রেখেছেন, কিন্তু এবার বিদ্যার চরিত্রে আরও দৃঢ়। ধারাবাহিকের এই বিতর্কিত সংলাপ এবং দৃশ্য এবার কোন দিকে নিয়ে যাবে, কতদিন টিআরপিতে টিকে থাকতে পারবে, সেটাই দেখার।