বর্তমান সমাজে দাঁড়িয়ে একটু আলাদা কিছু করলেই সে তৎক্ষণাৎ ভাইরাল (Viral) হয়ে যায়। আর এই ভাইরাল হওয়ার জন্য মানুষ যে কোনও পর্যায় পর্যন্ত চলে যায়। আসলে ভাইরাল হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু লাগেনা। অত্যাধিক নোংরামো দেখিয়েও কেউ ভাইরাল হতে পারে, আবার কেউ নিজ গুণের কারণে ভাইরাল হতে পারে।
তবে বর্তমান সময়ে সাধারণ অতি সাধারণদের দায়িত্ব নিয়ে সেলিব্রিটি বানিয়ে ছাড়ছেন ইউটিউবার, ভ্লগার, ফুড ভ্লগাররা।
আর কয়েক বছরে মানুষজনেদের ভাইরাল হওয়ার সংখ্যাটা যেন একটু বেশি মাত্রাতেই বেড়ে গেছে। রানু মন্ডল, কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকার আমার সাম্প্রতিক সময়ে নন্দিনী দি এইসব ইউটিউবারও, ভ্লগার, আবার ফুড ভ্লগারদের ফসল। এদের সৌজন্যে ভাইরাল তারকাদের দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে চোখ কান পচে যাওয়ার জোগার আমজনতার।
কিন্তু পঙ্গপালের মতো এই ‘ভাইরাল তারকাদের’ সামনে পিছনে ভনভন করতে থাকেন তারা। এই যেমন ডালহৌসি ৩নং কয়লাঘাটের রাস্তার ফুটপাতে মা-বাবার সঙ্গে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী দিদি এখন কার্যত তারকা। ব্যবহার কোনও কর্পরেটে চাকুরিরত’র থেকে কম নয়। ভীষণ দেমাক। এমনটাই বলেন নেটিজেনরা।
শাড়ি, সালোয়ার পরে মহিলারা খাবারের দোকান চালাচ্ছেন তা আমরা বহুদিন যাবত দেখে আসছি। কিন্তু তথাকথিত সমাজে জিন্স, টপ পড়া একটি পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত একটি মেয়ে ভাত বিক্রি করছে আর অভ্যস্ত চোখে একটু অন্যরকম ঠেকতেই গরমাগরম কনটেন্ট। অন্য মহিলারা স্মার্ট, কিউট না হতে পারলেও জিন্স টপ পরে নন্দিনী দিদি ইউটিউবারদের চোখে হয়ে উঠলেন স্মার্ট, কিউট নন্দিনী দিদি।
আবার তাকে টেক্কা দিতে চলে এলো অন্য একজন। নন্দিনীর থেকে কম দামে মাছ-মাংস-মটন খাইয়ে নজর কেড়েছিলেন বনগাঁর চাঁদপাড়ায় স্টেশনের ধারে ভাতের হোটেল চালানো দুই বোন। নন্দিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেই ভাইরাল তিনি। তার হোটেলেই এই মিষ্টি দিদিই আপাতত খচে লাল নন্দিনীর উপর। কারণ হল, তার খাবারের দাম শুনে নাকি নন্দিনী মন্তব্য করেছেন তিনি নাকি পচে যাওয়া মাছ-মাংস খাওয়ান, তাই এত কম দাম। আর তা জানতে পেরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে বনগাঁর এই দিদিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমার পাশে এসে তোমাদের স্মার্ট দিদি দাঁড়াতে পারবে না। ছেলেদের গায়ে হাত দিচ্ছে। মুখে চুমু খাচ্ছে। ওসব আমি করব না। ও রান্না করেনা। ওকে কখনও রান্না করতে দেখবেন না। খালি খাবার দেয়। বা শুধুমাত্র কড়ায় নাড়ে। সে রান্নার কী বোঝে?