ঐন্দ্রিলা নেই, প্ৰিয় মানুষ হারিয়ে কেমন করে এবারের পুজো কাটালেন সব্যসাচী?
আরও একটা নতুন পুজো। নতুন বছর আরও একবার বেঁচে থাকার প্রয়াস। নতুন কাজ, নতুন ইচ্ছে। ২০২২-এর পর অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Choudhury) জীবনেও এসেছে একাধিক বদল। তবুও আনন্দ উৎসবের দিনগুলো যেন বিষাদে মোড়া। ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma) চলে যাওয়ার পর কেমন ভাবে কাটান পুজো? নিজ মুখে জানালেন অভিননেতা।
পুজোয় অধিকাংশ সময়টাই নিজের রেস্তোরাঁতে কাটিয়েছেন অভিনেতা। এই সময় ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। দুপুর থেকে রাত অবধি চলে মানুষে সমাগম।অন্যদিকে নজর দেওয়ার সময় অবধি পান না। এই রেস্তোরাঁর ব্যবসা নিজের হাতে সাজিয়েছেন অভিনেতা। মেনু থেকে রেসিপি সবটাই নিজের করা। এবছর পুজোতে তাঁর স্পেশাল ডিশ ছিল ভেটকি চিংড়ির কাটলেট।
এমনিতে ডায়েটের ধার ধারেন না সব্যসাচী। মেপে খাওয়া থেকে জিম কোনোটাই পোষায় না। তবে চরিত্রে তাগিদ থাকলে ছোটেন জিমে। পুজোয় সব্যসাচীর বিরিয়ানি খাওয়াটা মাস্ট। তবে শান্তি খুঁজে পান ভাত, ডাল, আলু পোস্ত বা ভাজায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গেলে আবার ইন্ডিয়ান খেতে ভালোবাসেন।
প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা মারা যাওয়ার পর থেকে আর মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখা হয়নি তাঁর। একসময় প্রচুর ঘুরেছেন। এখন ঘোরার কোনও প্ল্যানই রাখেন না পুজোর বাকেটে। নিজের বইতেই লিখছেন, ছোটবেলায় রীতিমতো ম্যাপ নিয়ে বেরোতেন ঠাকুর দেখার জন্য। পুজাবার্ষিকী আনন্দমেলার সঙ্গে আসত সেই ম্যাপ।
আরও পড়ুনঃ মেয়ে মানেই ভোগ্যপণ্য! শহরে এসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কবলে রাঙামতি
অভিনেতা আরও বলেন, ‘ তখন তো ফোন ছিল না। পুজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় ম্যাপটা পাওয়া যেত। ওটা যত্ন করে কেটে পকেটে পুড়ে রাখতাম। সাইকেল নিয়ে ঠাকুর দদেখতে বেরোতাম। ফিরতে কত রাত হয়ে যেত। ওটাই আমাদের জন্য ছিল অ্যাডভেঞ্চার।’