আরজিকর কাণ্ডের পর প্রতিবাদী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) জলশঙ্খ বাজিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন। আর এবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তিনি নৃত্য পরিবেশন করে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়লেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন সমানভাবে। আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনেছিলেন তিনি। তবে এবার ট্রোলাদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন ঋতুপর্ণা।
ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে কড়া জবাব ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর!
ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী বলেন, “আমি একজন শিল্পী। শিল্পসত্তা নিয়েই আমার জীবন। আমার বিবেক, আমার বোধ কারও কাছে জমা রাখিনি।” প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঋতুপর্ণা বলতে থাকেন, “অনেক বছরের পরিশ্রম, অধ্যবসায়ের ফলে আমার আজকে এই অবস্থান। আজও একইভাবে পরিশ্রম করি।” কিন্তু অভিনেত্রীর স্বরে কঠোরতা। তিনি বললেন, “আমার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি। আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং বিধ্বস্ত তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে।”
ঋতুপর্ণার কথায়, “যে সকল ডাক্তাররা অনশন করছেন তাঁদের নিয়েও চিন্তিত। আমার ভিতরের কষ্ট বা প্রতিবাদ আমার কাছেই রাখতে চাই। আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাই না। কারণ যাঁরা সব কিছু এত খারাপ চোখে দেখেন আর এত বিরূপ মন্তব্য করেন, তাঁদের কোনও সুযোগ দিতে চাই না।” কথার সূত্র ধরে তিনি বলে চলেন, নিজে যেচে অপমানিত হতে চাই না। আত্মসম্মান, অভিমান আমার জন্মের থেকেই অধিকারের মধ্যে পড়ে।” ঋতুপর্ণার জানান, তাঁর মা-বাবার শেখানো সংস্কার হলো, ছোটবেলা থেকে ভাবা যে কিছু মানুষের জন্য কীভাবে ভালো করতে পারি। অন্যের সমস্যায় কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ব, সেটাই বরাবর শিখেছেন তিনি।
এর জন্য তিনি কাউকে প্রমাণ দিতে চান না। এই বছর তিনি অনেক অনুষ্ঠান, অনেক পুজোর উদ্বোধন বাতিল করেছেন। আবার পুরস্কার নিতেও যেতে পারেননি। কিন্তু দু’ একটা কাজের দিকে অভিনেত্রীর নাচের দল তাকিয়ে থাকে। কারণ, তাঁদেরও সংসার খরচ বহন করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ রাঙার জন্য সর্বনাশের ফাঁদ! বিয়ে দিয়ে তাড়ানোর প্ল্যান! প্রমিতা ও আক্কু কি পারবে রাঙাকে রক্ষা করতে?
তিনি বলেন, তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার চান তিনি। তাই, আমাকে কটাক্ষ করে, ছোট করে কিছু পাওয়া যাবে না। অভিনেত্রী বলেন, তিধি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। একদম পরিষ্কার আকাশের মতো। কালিমা লাগানো যাবে না এত সহজে। তাঁকে কোনও তকমা দেওয়া যাবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করেন। তিনি সিবিআই, সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আশাপ্রার্থী যে তিলোত্তমা এবং ডাক্তাররা বিচার পাক।