জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়াল এপিসো এমন এক অনুষ্ঠান যা বাস্তব জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে বাঙালি মহিলাদের ক্ষেত্রে। বিকেল হলেই তারা টিভি খুলে বসে পড়ে রচনা ব্যানার্জিকে দেখতে এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন দিদিদের জীবনের নানা কাহিনী শুনতে।
বিভিন্ন মজার খেলার পাশাপাশি থাকে প্রচুর গল্প আড্ডা। কেউ বলে থাকে নিজের জীবনের হাসির গল্প আবার সংগ্রামের গল্পও শেয়ার করে থাকে কেউ কেউ। এই সমস্ত গল্প শুনে কখনো কেঁদে ফেলেন রচনা ব্যানার্জি আবার কখনো হেসে লুটোপুটি খান অভিনেত্রী এবং সঞ্চালিকা।
অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র সাধারণ ঘরের বাঙালি দিদিরাই নয় আসেন বহু তারকা দিদিরাও। এমনই এক তারকা দিদি হলেন সায়ন্তনী ভৌমিক। টেলিভিশনের অতি পরিচিত একটি মুখ সায়ন্তনী।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ যাবত অভিনেত্রী নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন। তাই বহু মানুষ নায়িকাকে মূলত খলনায়িকা হিসেবেই চিনে থাকে। এবার এই নিয়েই জীবনের এক মজাদার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করলেন সায়ন্তনী।
অভিনেত্রীকে রচনা নিজে বলেন যে আজ অব্দি সব চরিত্রই নেগেটিভ কেন? উত্তরে নায়িকা বলেন তিনি নিজেও জানেন না তবে তার মুখ দেখেই নাকি সকলেই তাকে নেগেটিভ চরিত্রের অফার দিয়ে থাকে। এই নিয়ে বাস্তব জীবনে বেশ সাজেহাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিনেত্রী সায়ন্তনী ভৌমিককে।
সায়ন্তনী জানালেন মাঝে মাঝেই তিনি যখন হেঁটে যান সেই সময়ে দূর থেকে কেউ নায়িকাকে দেখতে পেলে চিৎকার করে ওঠে এই “অসভ্য বৌদি যাচ্ছে”।নায়িকার একটা কথাতেই সবাই হেসে লুটোপুটি খেলে অনুষ্ঠানের মঞ্চে।
নায়িকা বলেছেন যে তিনি নাকি শুটিংয়ে থাকলে অন্যান্য সহকর্মীদের বলতেন নায়িকার সাথে সেলফি তুলতে ভালোভাবে হেসে হেসে। এর কারণ যাতে দর্শকরা যারা সেই ছবিগুলো দেখবে তারা যাতে ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারে নায়িকা বাস্তব জীবনে একজন ভালো মানুষ।