বিশিষ্ট বলিউড গায়ক কেকের মৃত্যুর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় উঠে এসেছেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। কেকেকে নিয়ে রুপঙ্ক যা মন্তব্য করেছিলেন সেই নিরিখে প্রথমে তিনি আলোচনায় উঠে আসেন। তারপর গায়কের মৃত্যুর পর থেকে আরও বেশি করে কটাক্ষ শুরু করে মানুষ।
কেকে’র প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গায়ক। তবে সে সবের পাশাপাশি আরও একটি জিনিস চর্চায় উঠে এসেছে যা হলো প্রাদেশিকতা এবং ভাষার লড়াই। রুপঙ্কর পরে বিশ্লেষণ করে বলেন যে তিনি নাকি বলতে চেয়েছিলেন, বাংলার বাইরের শিল্পীদের নিয়ে বাংলায় যতটা মাতামাতি, বাঙালিদের নিয়ে ততটা হয় না।
এই আলোচনাকে চাপা দিয়ে জোরদার হল অরিজিতের গান। প্রাদেশিকতা এবং ভাষার ঝগড়া থামিয়ে আবার বাংলাকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করলেন গায়ক অরিজিৎ সিং। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় হিন্দি বেসরকারি চ্যানেলে তিনি যে গান গেয়েছেন তার দৌলতে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানটির বিষয়বস্তু ছিল লতা মঙ্গেশকরের গান। বেশ কয়েকটি গান ‘স্টার প্লাস’ চ্যানেলের এই মঞ্চে গিটার বাজিয়ে গেয়েছেন অরিজিৎ। তার মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি বাংলা গান। আর তা নিয়েই আলোচনা শুরু হলো এবার।
দে দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’, ‘বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি’, ‘যা রে উড়ে যা রে পাখি’, ‘মন লাগে না’, ‘ওগো আর কিছু তো নাই’, ‘যায় যায় প্রাণ যায়’, ‘চলে যেতে যেতে’-র মতো একটি সময় এর বিশেষ জনপ্রিয় এই গানগুলো একটি জাতীয় মঞ্চে গেয়েছেন অরিজিৎ।
এক জায়গায় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, মানুষ যেমন নিজের প্রতিটি অনুভূতির সঙ্গে সাযুজ্য পান রবীন্দ্রনাথের কবিতায় বা গানে, তেমনই লতা মঙ্গেশকরের গানও মানুষের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে।
টলিপাড়ার জনপ্রিয় ক্রিয়েটিভ ডিজাইন একতা ভট্টাচার্য যেমন লিখেছেন, “কেন পিছু ডাকো, পিছু ডাকো, বারে বারে আমারে তুমি…”
লতা মঙ্গেশকর কে tribute দেবার জন্য এক বঙ্গ সন্তান National Channel এ সগর্বে একের পর এক বাংলা গান গেয়ে চলেছেন। গতকাল থেকে ভাইরাল! গোটা দেশ শুনছে।
কখনো কাকুতি মিনতি করে বাংলা গানের পাশে দাঁড়াতে বলেননি…কোনোদিন অন্য শিল্পীদের অপমান করেননি…শুধু নিজের প্রতিভা দিয়ে সবার মন জয় করে যাচ্ছেন প্রত্যেক দিন…একবার শুনুন সময় করে!
অরিজিতের এই গানের পর তাঁকে নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ বলেছে যে ঝগড়ার বিষয় হতে পারে না গানের ভাষা।